রিল লাইফের মনের মিল রিয়েল লাইফেও হয় বই কি।পর্দার লাভিডাভি কাপল বাস্তবেও সফল হয়েছেন সম্পর্কে। আবার কখনও বিয়ে হলেও সম্পর্ক টেকেনি বেশি দিন।অনেকেই আবার সফল দম্পতি। রয়েছে সন্তানও।
গৌরী-হিতেন: একতা কপূরের ‘কুটুম্ব’ সিরিয়ালে তাঁদের কেমিস্ট্রি দেখে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন দর্শকরা। দর্শকরাও যেন চাইতেন, বাস্তবেও দু’জন যদি পরস্পরের প্রেমে পাগল হতেন! আর হলও তাই। বাস্তবেও বিয়েটা সেরে ফেললেন গৌরী-হিতেন। আর এখন? দুই সন্তানের বাবা-মা তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পরস্পরের ছবি পোস্ট করতে ভোলেন না।
বন্দনা লালওয়ানি-আমন ভার্মা: প্রথম আলাপ ‘হাম নে লিয়ে হ্যায় শপথ’-এ। আর সত্যিই তখনই হয়তো শপথ নিয়েছিলেন দু’জনে, পর্দার মতোই বাস্তবেও পাশাপাশি থাকার। বিখ্যাত টেলিভিশন সঞ্চালক ও বিগ বসের প্রাক্তন প্রতিযোগী আমন রীতিমতো প্রেমে মজে গিয়েছিলেন বন্দনার। ২০১৬ সালে বিয়েটা সেরেই ফেলেন তাঁরা।
ভিভিয়ান দি’সেনা-ভাহবিজ দোরাবজি: ‘পেয়ার কি ইয়ে এক কহানি’-র সময় থেকেই পরস্পরের সঙ্গে তীব্র প্রেম ছিল এই দুই জনপ্রিয় অভিনেতার। টিনেজ ড্রামাটি যত জনপ্রিয় হয়, এই লাভিডাভি কাপলের প্রেম ততই ঘন হতে থাকে। ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়েন দু’জনে। তবে জনপ্রিয় এই কাপল ‘ভিভা’-র বিচ্ছেদ হয়ে যায় ২০১৭ সালে।
সানায়া ইরানি-মোহিত সেহগল: ‘মিলে যব হাম তুম’-এর সেটেই আলাপ পরস্পরের। মূল চরিত্রে পরস্পরের বিপরীতে অভিনয় করছিলেন দু’জনে। পর্দার প্রেম গড়াল বাস্তবে। সাত সাতটা বছর ডেটিংয়ের পর ২০১৬ সালে ধূমধাম করে বিয়ে করেন তাঁরা।
জেনিফার উইংজেট-কর্ণ সিং গ্রোভার: ‘দিল মিল গ্যায়ে’-র সময় থেকেই আলাপ দু’জনের। একে মূল চরিত্র। তার মধ্যে পরস্পরের প্রেমে পাগল সেই চরিত্র দু’টি। রিল লাইফের প্রেম গড়াল রিয়েলেও। ২০১২ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। পরে যদিও সেই বিয়ে ভেঙে যায়। কর্ণ বিয়ে করেন বিপাশা বসুকে।
দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠী ও বিবেক দাহিয়া: বহু বছরের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল দিব্যাঙ্কার। পরে বন্ধুত্ব হয় বিবেকের সঙ্গে। একতা কপূরের ‘ইয়ে হ্যায় মহব্বতেঁ’-র সময় থেকেই আলাপ। প্রথম দর্শনে প্রেম একেবারেই নয়। বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে ভালবাসায় পরিণত হয়। বিয়ে করেছেন ২০১৬ সালে।