শুটিংয়ের ফাঁকে সৌরভ। —নিজস্ব চিত্র।
২২ শ্রাবণের হাল্কা বৃষ্টি বাইরে। বাইরে, নকল পিচে তখন প্রত্যেকটা বল পড়ছে আর উড়ে যাচ্ছে। সেই নিখুঁত ‘বাপি বাড়ি যা’ শট। বোলারকে দুরমুশ। দিনের শেষে জয়ের হাসি হাসলেন কে?
নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়?
আসলে, ‘গোত্র’ তৈরির এক বছর পর ফ্লোরে ফিরলেন নন্দিতা-শিবপ্রসাদ। এক বিজ্ঞাপনের শুট করতে গিয়ে বাংলার ‘মহারাজ’-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে নিলেন তাঁরা। সেখানেই শুটের ফাঁকে পাঁচ বছর পরে ব্যাট হাতে ‘দাদা’। বোলিংয়ের লোভ কী করে সামলান শিবপ্রসাদ?
আরও পড়ুন: অভিনেতা নয়, গায়ক হতে ফিল্মি দুনিয়ায় পা দেন বলিউডের এই ‘ভাল পুলিশ’
এটি যদি ঘটনার এক পিঠ হয় তা হলে উল্টো পিঠে আরও বিস্ময়! পাক্কা প্রফেশনালিজম ছিলই সৌরভের। ছিল সাবধানতা মেনে একের পর এক শট দেওয়া। তার মধ্যেই পিঙ্ক বল বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সৌরভ। বয়স একটু বাড়লে সবাই নিরামিষের দিকে ঝোঁকেন, তিনিও আস্তে আস্তে সে দিকে ঝুঁকছেন, জানাতে ভোলেননি ‘দাদা’।
ব্যাট হাতে সৌরভ। —নিজস্ব চিত্র।
এত কিছুর মধ্যে সবচেয়ে দামি কথা বলেছেন মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে, এ বারের আইসিসি উইমেন্স ওয়ার্ল্ড কাপ ক্রিকেট ফাইনালে ৮৫ হাজার লোক খেলা দেখতে এসেছিলেন মেলবোর্নে। যা দেখে সৌরভের দাবি, মহিলা ক্রিকেট অনেক এগিয়েছে, আরও এগোবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছেলেদের ক্রিকেটের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে ভবিষ্যতে।
আরও পড়ুন: সুশান্তের ডায়েরির ছেঁড়া পাতা প্রকাশ্যে, তাতে লেখা...
সৌরভ খুশি নন্দিতা-শিবপ্রসাদের সঙ্গে কাজ করে। তাঁদের সাম্প্রতিক বেশ কিছু ছবি যে বাণিজ্যিক ভাবে সফল, জানেন তিনি। অন্য দিকে আপ্লুত পরিচালক জুটিও। সৌরভের প্রফেশনালিজম আর খুঁতখুঁতেমির ঢালাও প্রশংসা করেছেন দু’জনেই। তাঁদের কথায়, ‘‘সমস্ত টিম মেম্বারের সঙ্গে খেলেছেন মহারাজ। বললেন, ‘পাঁচ বছর পরে আবার ব্যাটে হাত দিলাম।’ তাঁর প্রত্যেকটা মার বলে দিচ্ছিল, নিজের জায়গায় সৌরভ এখনও সুপারস্টার।’’