চাপে পড়েই নাকি এই অভিনেতা নেটমাধ্যমে এসেছেন। ইচ্ছা না থাকলেও রোজ নিজের অন্তত একটি ছবি তিনি আপলোড করেন।
আশ্চর্য হলেও এটাই সত্যি। এই সত্যি স্বীকার করেছেন ওই অভিনেতা নিজেই।
তিনি ‘ফুকরে’ ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা মনজোৎ সিংহ। এক বিশেষ কারণে ‘অপছন্দের এই নেটদুনিয়ায়’ থাকতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
মনজোতের জন্ম দিল্লিতে। মা পুরোদস্তুর গৃহবধূ। বাবা এক জন ব্যবসায়ী।
নয়াদিল্লির হিলউডস অ্যাকাডেমি থেকে পাশ করার পর মনজোৎ পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরার বদলে বলিউডে চেষ্টা শুরু করেন।
এ নিয়ে মা-বাবা কারও আপত্তি ছিল না। মনজোৎ প্রথম অডিশন দিয়েছিলেন দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ‘ওয়ে লাকি! লাকি ওয়ে’-র জন্য।
প্রথম ছবিই সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল।
এর পর ‘উড়ান’, ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’, ‘ফুকরে’-সহ একাধিক ছবিতে সুযোগ করে নিয়েছেন নিজের দক্ষতাতেই।
অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সাধারণত নেটমাধ্যমে ভীষণ সক্রিয় হয়ে থাকেন। সে দিক থেকে মনজোৎ সম্পূর্ণ বিপরীত মানসিকতার মানুষ ছিলেন। নেটদুনিয়া ছিল তাঁর অপছন্দের জায়গা।
মনজোৎকে নিয়ে এক বার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে তিনি নাকি নিজের চুল কেটে ফেলেছেন।
দিল্লিতে জন্ম হলেও মনজোৎ মনেপ্রাণে একজন শিখ। শিখ ধর্ম মন থেকে পালন করেন তিনি।
ধর্মীয় রীতি মেনে তাই তিনি চুল কাটেন না। কিন্তু ওই ভুয়ো খবর তাঁর ধর্মীয় ভাবাবেগে ভীষণ আঘাত এনেছিল।
পরে এক সাক্ষাৎকারে মনজোৎ জানিয়েছিলেন, ধর্ম তাঁর কাছে অনেক এগিয়ে। চুল না কাটার জন্য যদি তাঁকে কেউ অভিনয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে চান, তা হলে তিনি খুশি মনে অভিনয়ও ছেড়ে দিতে রাজি।
কিন্তু ওই ঘটনার পর মনজোৎ বুঝতে পেরেছিলেন অনুরাগীদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখা কতটা জরুরি অভিনেতাদের জন্য।
ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়ররা এবং বন্ধুরা অনুরাগীদের কাছে নিজের ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য নেটমাধ্যমের সাহায্য নেওয়ার উপদেশ দিয়েছিলেন।
অনুরাগীদের সঙ্গে নিজের দৈনন্দিন জীবন ভাগ করে না নিতে পারলে ভুয়ো খবরের রমরমায় তাঁকে নিয়ে ভুল বার্তা পৌঁছতে পারে, সতর্ক করেছিলেন তাঁরা।
সেই দিন থেকে বাধ্য হয়েই মনজোৎ নেটমাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং রোজ অন্তত একটি ছবি আপলোড করতে শুরু করেন।