সূত্রের মতে, এখনও পর্যন্ত জাতীয় বক্স অফিসে ‘পাঠান’-এর ব্যবসার পরিমাণ ৬৫৪ কোটি টাকা। — ফাইল চিত্র।
ওটিটিতে দেখা যাচ্ছে ‘পাঠান’। ফলে প্রেক্ষাগৃহে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে ছবির শোয়ের সংখ্যা। গত ২৫ জানুয়ারি দেশে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। দেশের বক্স অফিসে একের পর নজির গড়েছে শাহরুখ খান অভিনীত এই ছবি। তিন মাস পেরিয়ে এই ছবির চূড়ান্ত বক্স অফিসের পরিসংখ্যানও প্রকাশ্যে এসেছে। সেই সঙ্গে টিকিট বিক্রির নিরিখেও নতুন নজির সৃষ্টি করেছে ছবিটি।
সূত্রের মতে, এখনও পর্যন্ত জাতীয় বক্স অফিসে ‘পাঠান’-এর ব্যবসার পরিমাণ ৬৫৪ কোটি টাকা। ছবিটি প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আরও ১ কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারে। অন্য দিকে, বিদেশের বাজারে ভারতীয় মুদ্রায় ছবিটি ৩৯৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে। এখানেও আরও দেড় কোটি টাকা জুড়তে পারে। সব মিলিয়ে পাঠানের ব্যবসার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা! সিনেমার বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যবসার পরিমাণ দাঁড়াবে ১ হাজার ৫৫ কোটি। পাশাপাশি ওটিটিতে ছবিটির ভিউ বাড়লে সেখান থেকে নির্মাতা ‘যশরাজ ফিল্মস’ আরও মুনাফা অর্জন করবে।
‘পাঠান’-এর টিকিট বিক্রির পরিসংখ্যানও তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বক্স অফিসে এখনও অবধি ছবিটির মোট ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টিকিট বিক্রি হয়েছে। অতিমারির পর এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে বলিউডের জন্য সুখবর। যদিও সম্প্রতি ‘তু ঝুঠি ম্যায় মক্কার’ এবং ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’-র মতো ছবি বক্স অফিসে ভালই চলছে। কিন্তু ‘পাঠান’-এর সঙ্গে তাদের তুলনা চলে না।
তবে ছবির সামগ্রিক বক্স অফিসের চিত্রটা এখানেই স্পষ্ট হচ্ছে না। আগামী দিনে বলিউডের অন্যান্য ছবির মুক্তির উপরেও ‘পাঠান’-এর ইনিংসের শেষ লগ্ন নির্ভর করছে। সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশে মুক্তি পেতে পারে ‘পাঠান’। যদিও এখনও সেই সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়া বাকি। অন্য দিকে, চিনে এখনও ‘পাঠান’ মুক্তি পায়নি। ভবিষ্যতে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিদেশের আরও দেশে ছবি মুক্তি পেলে ছবির ব্যবসার পরিমাণ বাড়বে।