বিশাল ভরদ্বাজ।
বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘রঙ্গুন’। অথচ তিনি জানেন যে, ব্যর্থতা-সমালোচনাকে পাত্তা দিলে এগোনো যাবে না। সংগীত পরিচালনা থেকে ছবির নির্দেশনা কিংবা চিত্রনাট্য লেখা— সবেতেই সমান পারদর্শী বিশাল ভরদ্বাজ। পঞ্চম ব্রহ্মপুত্র ভ্যালি চলচ্চিত্র উৎসবে এসে ‘রঙ্গুন’-এর ব্যর্থতা প্রসঙ্গে অকপট জবাব দিলেন, ‘‘১১ বছর ধরে স্ক্রিপ্ট লিখেছিলাম। কেন চলল না, এখনও জানি না। নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলতে পারি, ছবিটা সময়ের আগে তৈরি হয়েছে।’’ ‘মকড়ি’ থেকে শেক্সপিয়র ট্র্যাজেডির ট্রিলজির সময়ে অনেক নিন্দে হলেও দর্শকদের কাছে বিশালের অনুরোধ, ‘‘রিভিউ পড়ে ছবি দেখার সিদ্ধান্ত নেবেন না।’’
সত্যজিৎ রায়ের শুধু ছবিই নয়, তাঁর লেখা, সংগীতেরও ভক্ত বিশাল। ছবি তৈরি করতে চান প্রফেসর শঙ্কুকে নিয়ে। প্রকাশ্যেই মঞ্চ থেকে সন্দীপ রায়কে অনুরোধ জানালেন, ‘‘ফেলুদা-প্রফেসর শঙ্কুর কপিরাইট ছাড়ুন। অন্যরাও তা হলে ওদের নিয়ে ছবি তৈরি করতে পারে!’’ বিশাল মনে করেন, অমল গুপ্তে ছাড়া কেউ বাচ্চাদের জন্য মননশীল ছবি সে ভাবে বানাচ্ছেন না। আর সেই স্থানটাই পূরণ করতে পারে শঙ্কু সিরিজ।
‘মকবুল’, ‘ওমকারা’, ‘হায়দর’— শেক্সপিয়রের ট্র্যাজেডি নিয়েই বানিয়ে ফেলেছেন ট্রিলজি। কমেডি নিয়ে ছবির ভাবনা আছে? পরিচালক জানালেন, ‘‘ট্র্যাজেডির ক্ষেত্রে প্রথমটা ছিল ঘটনাক্রম, পরেরটা ছবি তৈরির তাড়া আর তৃতীয়টা ট্রিলজি শেষ করার দায়। এ বার শেক্সপিয়রের কমেডি ট্রিলজিতে হাত দেব।’’ ছবি পরিচালনার আগে প্রায় ১৭টা ছবিতে সংগীত পরিচালনা করেছেন। এখন পরপর ছবি পরিচালনার ফাঁকে সংগীত কি চাপা পড়ে যাচ্ছে? ‘‘এক বছর কোনও ছবি পরিচালনা করব না। তিন পরিচালকের ছবিতে শুধু সংগীত পরিচালনার ভার নিয়েছি’’, জানালেন বিশাল। কালিদাসকে নিয়ে ছবি তৈরির আবদারে জানালেন গুলজারের চিত্রনাট্য তৈরি।
ইদানীংকালের অভিনেতাদের মধ্যে বিশালের পছন্দের তালিকার পয়লা সারিতে রয়েছেন রণবীর কপূর। বললেন, ‘‘ভাল অভিনেতা হয়েও ভুল চরিত্র বাছছে রণবীর। নিজেকে ভেঙেচুরে দেখার সাহস দেখাতে পারছে না। যে দিক থেকে অনেক এগিয়ে রণবীর সিংহ।’’ বিশাল মুগ্ধ কঙ্গনা রানাওয়াত, আলিয়া ভট্টের কাজে। ভবিষ্যতে কিং লিয়র নিয়ে ছবি করলে প্রধান ভূমিকায় প্রথম পছন্দ অবশ্যই রজনীকান্ত, জানাতে ভুললেন না সে-কথাও।