ফোনের ও পারে মিষ্টি নারীকণ্ঠ, যার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে পুলিশ থেকে পশুপ্রেমী, মহিলা সম্পাদক থেকে ষাট পেরোনো প্রবীণ। এত প্রেমিকের চাপে নাস্তানাবুদ নারীকণ্ঠের অধীশ্বরও। কারণ সে আদতে একজন পুরুষ, যার বাগদান হয়ে গিয়েছে!
রিয়্যালিটি শোয়ের জনপ্রিয় লেখক রাজ শান্ডিল্য কমেডি ভালই বোঝেন। তিনি ছাড়াও ‘ড্রিম গার্ল’-এর চিত্রনাট্য লিখেছেন নির্মাণ সিংহ, নিকেত পাণ্ডে। তিন জনের প্রচেষ্টায় প্রথমার্ধ দারুণ উপভোগ্য। দ্বিতীয়ার্ধেও হাসির ফোয়ারা থামাতে পারবেন না দর্শক। তবে সেখানে নতুন কিছু যে বলার ছিল না, তা ধরে ফেলাও দুঃসাধ্য নয়।
ট্রেলার দেখেই ছবির গল্প আঁচ করা যায়। তবে কী ভাবে তা বলা হচ্ছে, সেটার উপরে নজর ছিল। ছোট শহর, সেখানকার রঙিন চরিত্র, দ্ব্যর্থবোধক সংলাপ, ডায়লগের ভাঁজে সমকালীন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটকে ছুঁয়ে দেখা... বলিউডে এই জঁর ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। আর এই জঁরের পোস্টার বয় আয়ুষ্মান খুরানা পরপর ছক্কা হাঁকাচ্ছেন।
নারীর পোশাকে পুরুষ চরিত্র বলিউড আগেও দেখেছে। তবে করম সিংহের (আয়ুষ্মানের চরিত্র) ছোটবেলা থেকে বিশেষ গুণ, নারীকণ্ঠ অবিকল নকল করা। এ বারও আয়ুষ্মান সসম্মান উত্তীর্ণ। তবে সহকারী অভিনেতারাও কোনও অংশে কম নন। বরং দ্বিতীয়ার্ধে তাঁদের কাঁধে ভর করেই ছবিটি টলমল করতে করতেও সেতু পার করে ফেলে।
‘ভিকি ডোনার’-এর পরে আবারও এক স্ক্রিনে অন্নু কপূর ও আয়ুষ্মান। করমের বাবার চরিত্রে অন্নু অসাধারণ। ততটাই তুখড় পুলিশের চরিত্রে বিজয় রাজ, মহেন্দ্রর চরিত্রে ‘স্ত্রী’খ্যাত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহিলা সম্পাদকের চরিত্রে নিধি বিশ্ত, আয়ুষ্মানের বন্ধুর চরিত্রে মনজ্যোত সিংহ, কল সেন্টার মালিকের চরিত্রে রাজেশ শর্মা। তবে ছবির নায়িকা নুসরত ভারুচার বিশেষ কিছু করণীয় ছিল না। কয়েকটি গানে তিনি নিজের রূপের ছটা দেখিয়েছেন।
হাসতে হাসতে এমন অনেক কথাই বলে দেওয়া হয়, যা হয়তো আদতে বলা উচিত নয়। ছবির ‘দাদি’ চরিত্রের বয়স নিয়ে বারবার করে বলা চোখে লাগে। হাসির মোড়কে শেষে একটি বার্তাও দেওয়া হয়, যা যুগোপযোগী। তবে অন্নু কপূরের হঠাৎ আদবকায়দা বদলের বিষয়টি হাসির হলেও অতিরঞ্জিত। সেখানেই বোধহয় ছবির তালও খানিক কাটে।