গৌরব, নচিকেতা, পরমব্রত
সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তাঁর খ্যাতি প্রশ্নহীন। লেখক হিসেবেও তিনি যথেষ্টই পরিচিত। নচিকেতা চক্রবর্তীর লেখা গল্প বই আকারে বেরিয়েছে। এ বার তাঁর গল্প নিয়েই ছবি তৈরি হচ্ছে। গল্পের নামেই ছবির নাম ‘শর্টকাট’। পরিচালক সুবীর মণ্ডল। অভিনয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, গৌরব চক্রবর্তী, অনিন্দিতা বসু, চন্দন সেন, বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন অপু বিশ্বাস, ওরিন।
অনেক গল্পই লিখছেন, শর্টকাট নিয়েই ছবি করতে চাইলেন কেন? ‘‘এই গল্পের মধ্যে সিনেমার উপাদান আছে। এটা ছোট্ট একটা গল্প। সুবীরকে দিয়ে বললাম নিজের মতো করে গড়ে পিটে নিতে,’’ বললেন নচিকেতা। সুবীর শর্টফিল্ম, তথ্যচিত্রের নির্দেশনা দিয়েছেন। দুরদর্শনের সঙ্গে দীর্ঘ দিন যুক্ত। পূর্ণাঙ্গ ছবি এই প্রথম। তবে এ সব নিয়ে নচিকেতা চিন্তিত নন। ‘‘সুবীর কত ভাল ছবি বানাবে, আমি জানি না। ও মানুষটা খুব ভাল। তাই গল্পটা ওকেই দিলাম,’’ দরাজ গলায় হাসতে হাসতে বললেন শিল্পী।
‘‘আমাদের সকলের মধ্যেই একটা শর্টকাট নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। পরিণতিতে কেউ সফল, কেউ ব্যর্থ,’’ ছবির ব্যাখ্যায় বলছিলেন পরিচালক। এই সময়ের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে দুটো আলাদা আর্থ-সামাজিক অবস্থার দুই যুবকের গল্প ‘শর্টকাট’। ‘‘বিত্তবান পরিবারের একটি ছেলে আর ঠিক পাশের বস্তিতে থাকা আর একটি ছেলে। আপাতদৃষ্টিতে দু’জনের অবস্থান আলাদা হলেও তাদের দু’জনের জীবনেই ব্যর্থতার গ্লানি রয়েছে। কোথাও গিয়ে তারা মিলে যায়। এ বার তারা পরিস্থিতি থেকে বেরোতে পারে কি না সেটা নিয়েই গল্প,’’ বেশি ভাঙতে না চেয়ে দাঁড়ি টানলেন সুবীর।
অপু
গল্পের অন্য একটি দিকের কথা বলছিলেন নচিকেতা। ‘‘কলকাতাকে আমরা যে ভাবে দেখি, সেটাই তো শহরের আসল রূপ নয়। গভীরে গভীরে অনেক স্তর রয়েছে। বাংলা ছবিতেও সেগুলো উঠে আসেনি। এই ছবির মাধ্যমে সেগুলো দর্শক জানতে পারবেন।’’
‘শর্টকাট’ প্রথম ছবি হলেও পর পর অনেক ছবির পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন সুবীর। বলছিলেন, ‘‘প্রযোজকদের কাছে গিয়ে কাজ চাইতে পারি না। এটা আমার সমস্যা। এই ছবিটা করতে তৃণা ফিল্ম এগিয়ে এসেছে। এর পর আরও ছ’টা ছবির পরিকল্পনা আছে।’’ সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে ‘শর্টকাট’-এর শুটিং। প্রত্যাশা মতোই ছবির মিউজ়িকের দায়িত্বে নচিকেতা নিজেই।