বিগ বসের ঘরে থাকবেন অথচ বিতর্কে জড়াবেন না, তা কখনও হয়? ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে এই শোয়ের ১৩তম সংস্করণে কে কে থাকবেন, তা নিয়ে কৌতূহল তো কম নয়। তবে বিগ বসের ঘরে কে কী বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, তা দেখতেও মুখিয়ে টেলি-দর্শকেরা। হবে না-ই বা কেন? এ ঘরে তো কম বিতর্ক হয়নি। মনে পড়ে এই বিতর্কিত ঘটনাগুলো?
২০০৬-এ প্রথম বিগ বস-এ প্রায় সকলের সঙ্গেই ঝামেলায় জড়িয়েছেন রাখী সবন্ত। অমিত সাধের সঙ্গে কফি মাগ নিয়ে তো কাশ্মীরা শাহের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি। বিগ বস থেকে বিতাড়িত কাশ্মীরা ফের ওই ঘরে ঢুকে একটা বোমা ফাটিয়েছিলেন। অন্যদের নিয়ে রাখী কী কী কটূ কথা বলেছেন, তা ফাঁস করে দেন। এর পর রাখী-কাশ্মীরার ঝগড়া থামানো যায়নি।
বিগ বসের ঘরে ঝগড়াঝাঁটিতে কম যাননি রাজা চৌধরি ও সম্ভাবনা শেঠ। সম্ভাবনার সঙ্গে শ্বেতা তিওয়ারির প্রাক্তন স্বামী রাজার অম্লমধুর সম্পর্ক সরগরম ছিল সিজন ২। দু’জনের ঝগড়া নাকি চুম্বনে মিটেছিল। তবে পরে রাজা নাকি বলেন, ‘‘সম্ভাবনাকে চুমু খাওয়াটা অনেকটা অ্যাশট্রেকে চুমু খাওয়ার মতো।’’
কামাল আর খান বা কেআরকে-কে ভুলে যাননি নিশ্চয়ই! সিজন থ্রি-তে রোহিত বর্মার সঙ্গে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল তাঁর। দু’জনেই নিজেদের রাগ চেপে রাখতে পারতেন না। কামাল খান তো এক বার ক্যামেরার সামনেই রোহিত বর্মার দিকে বোতল ছুড়ে মারেন। এর পর কামালকে বিগ বস থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
কামালের কামাল দেখার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, সেই ‘পারফরম্যান্স’ আর কেউ দেখাতে পারবেন না। তবে পরের সিজনে কামালকেও যেন টপকে যান ডলি বিন্দ্রা। সকলের সঙ্গে ঝগড়া, চিৎকার করাটা তাঁর যেন রুটিনমাফিক কাজ ছিল। তবে শ্বেতা তিওয়ারি, অশ্মিত পটেল, বীণা মালিক বা মনোজ তিওয়ারির প্রতি তাঁর রাগটা যেন একটু বেশিই ছিল।
বিগ বসের সিজন ফাইভে পূজা মিশ্রর মধ্যে অনেকেই ডলি বিন্দ্রার ছায়া দেখতে পেয়েছিলেন। ওই ঘরের বাসিন্দাদের সঙ্গে ঝগড়া করাটা যেন তাঁর নিয়মমাফিক কাজ হয়ে গিয়েছিল। আর পূজার ঘন ঘন ‘স্পেয়ার মি’ বলাটাও অনেক প্রতিযোগী নকল করে দেখাতেন। শেষমেশ সিদ্ধার্থ ভরদ্বাজের সঙ্গে মারপিট করে বিগ বস থেকে বিতাড়িত হন পূজা।
ষষ্ঠতম সিজনে তো বটেই অনেকের মতে, বিগ বসের অন্যতম বিতর্কিত চরিত্র হলেন ইমাম সিদ্দিকি। তাঁর আচরণে একেবারে ভয়ে সিঁটকে গিয়েছিলেন আশকা গোরাডিয়া। এক বার ইমামের কটূ মন্তব্যে তো কেঁদেই ভাসিয়েছিলেন ঊর্বশী ঢোলাকিয়া। শুধু তা-ই নয়, হোস্ট সলমন খানের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন ইমাম।
কুশল টন্ডন বনাম ভিজে অ্যান্ডির ডুয়েল-এ সরগরম ছিল সেভেন্থ সিজন। এক বার তাঁদের মধ্যে ঝগড়া চলাকালীন অ্যান্ডিকে ধাক্কাও দেন কুশল। এর পর বিগ বসের ঘর থেকে কুশলকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য কুশলকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।
বিগ বসের পরের সিজনের গোড়ার দিকে সোনালি রাউতকে কেউ ততটা গুরুত্ব দেননি। তবে অষ্টম সিজনে এক চড়েই লাইমলাইটে চলে আসেন সোনালি। আক্ষরিক অর্থেই! আলি কুলি শোয়ের মধ্যেই সপাটে চড় কষিয়েছিলেন সোনালি রাউত।
সোনালি রাউত একাই নন, চড় মেরেছিলেন রোহন মেহরাও। তবে একাদশ সিজনে। বিগ বসের দেওয়া একটা টাস্ক করতে গিয়ে স্বামী ওমের সঙ্গে মারপিট শুরু হয়েছিল রোহনের। শেষমেশ স্বামীকে চড় মেরে বসেন রোহন। বিতর্কের আরও বাকি! স্বামী ওম এক বার নাকি বাণী জে এবং রোহনের দিকে তাঁর মূত্র ছুড়ে মারেন। এর পর আর বিগ বসে থাকতে পারেননি স্বামী।
একাদশ সিজনেই বিগ বসের ঘরে শিল্পা শিন্দে বনাম বিকাশ গুপ্তর তর্কাতর্কি তুঙ্গে পৌঁছেছিল। সারা ক্ষণ তাঁদের মধ্যে ঝগড়া চলত। তবে মাঝেমধ্যে তাঁদের আবার মিটমাটও হয়ে যেত। কিন্তু, বিগ বসের ঘর থেকে বেরিয়েও বিকাশের বিরুদ্ধে কথা বলা থামাননি শিল্পা।
অনেকের মতে, গত বারের বিগ বসে সুরভি রানাই ছিলেন সবচেয়ে মারমুখী। রোমিলের সঙ্গে ২৬ বছরের সুরভির বেশ ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। তবে সুরভি অভিযোগ করেন, রোমিল নাকি তাঁর দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে থাকেন যে, তাতে অস্বস্তি হয়। শ্রীসন্থ ও দীপিকার সঙ্গেও তর্ক করতেন তিনি। অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহারের জন্য সলমন খান সুরভিকে সতর্কও করেন।