২০টি ধারাবাহিকে ফেডারেশনের কোনও সদস্য কাজ করতে পারবেন না।
২০টি ধারাবাহিকের তালিকা ধরিয়ে দিয়েছে ফেডারেশন। টেকনিশিয়ানদের উদ্দেশে ফেডারেশনের নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি মঙ্গলবার। উল্লিখিত ২০টি ধারাবাহিকে কাজ করা যাবে না। তাদের দাবি, যে সমস্ত ধারাবাহিক এই লকডাউনের মধ্যেও কাজ চালিয়ে গিয়েছে, সেই সমস্ত ধারাবাহিকে ফেডারেশনের কোনও সদস্য কাজ করতে পারবেন না। গিল্ডের অনুমতি ছাড়া কোনও ভাবেই কাজে অংশগ্রহণ করা যাবে না। ফেডারেশনের নির্দেশ, যত ক্ষণ না প্রোডিউসার গিল্ডের সঙ্গে ফেডারেশনের নতুন চুক্তি কার্যকর হচ্ছে তত ক্ষণ এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। তালিকায় রয়েছে— ‘কৃষ্ণকলি’, ‘তিতলি’, ‘অপরাজিতা অপু’, ‘গ্রামের রানী বিনাপানি’, ‘বরণ’, ‘খেলাঘর’, ‘যমুনা ঢাকি’, ‘গঙ্গারাম’, ‘জীবন সাথী’, ‘মিঠাই’, ‘সাঁঝের বাতি’, ‘খড়কুটো’, ‘শ্রীময়ী’, ‘মোহর’, ‘দেশের মাটি’, ‘রিমলি’, ‘ওগো নিরুপমা’, ‘ফেলনা’, ‘কি করে বলবো তোমায়’, ‘ধ্রুবতারা’। কিছু নতুন ধারাবাহিকের নামও করেছে ফেডারেশন। সেগুলিতে টেকনিশিয়ানরা কাজ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে তারা। সেই তালিকায় রয়েছে আরও ৪টি ধারাবাহিক। টেন্ট সিনেমার ‘রিসতো কি মাঞ্জা’, অর্গানিক টেনিশিয়ান স্টুডিয়োর ‘সুন্দরী’, অ্যাক্রপলিস এন্টার্টেইনমেন্টের ‘মন ফাগুন’ এবং ম্যাজিক মোমেন্টের ‘ধূলি কনা’। তবে একইসঙ্গে ফেডারেশনের বক্তব্য, যে সমস্ত ধারাবাহিক ওই তালিকায় নেই, সেগুলিতে কাজ করতে পারেন প্রথম ইউনিটের টেকনিশিয়ানরা।
মঙ্গলবার আরও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সংগঠন সিনে মেকআপ আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশে সদস্যপদ বাতিল করে নেওয়ার সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে সেখানে। বলা হয়েছে, নতুন বা পুরনো, কোনও ধারাবাহিকেই কাজ করা যাবে না সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি ছাড়া। কোনও সদস্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যদি কোনও প্রযোজক টাকা ফেলেন, তা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটার ছবি তুলে বা মেসেজ করে পাঠাতে হবে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাপি মালাকারের কাছে।
সিনে মেকআপ আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিজ্ঞপ্তি
১ জুলাই পর্যন্ত কোভিড সংক্রান্ত বিধি নিষেধের মেয়াদ বাড়লেও ধারাবাহিক, ছবি এবং ওয়েবসিরিজের শ্যুটিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ের ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ অনুযায়ী, ১৬ জুন থেকে ৫০ জনের ইউনিট নিয়ে শ্যুটিং শুরু করা যাবে। তবে কাজে ফেরার আগে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে সরকার। এ ছাড়াও মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনেও চলারও কড়া নির্দেশ রয়েছে।
কিন্তু মাস খানেক ধরে ফেডারেশনের সঙ্গে তরজা শুরু হয়েছে ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স (ডব্লিউএটিপি)-র। বাড়ি থেকে শ্যুট করা নিয়ে ফেডারেশনের তরফে আপত্তি জানানো হয়েছিল। ফেডারেশনের তরফে বলা হয়েছে, এই ভাবে কাজ করিয়ে নিচ্ছেন প্রযোজকরা। আসলে নিজেদের ঝোলা ভর্তি করে নিয়ে কলাকুশলীদের বঞ্চিত করার পরিকল্পনা বলেও দাবি করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ধারাবাহিকের প্রযোজকরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা কাউকে বঞ্চিত করবেন না। সকলের কথা মাথায় রেখেই শ্যুটিং চালিয়ে নিয়ে যেতে চান প্রযোজকেরা। যাঁরা দিন আনি দিন খাই-এর পর্যায়ে পড়েন, তাঁদের জন্যই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা।