হাসি ঠাট্টায় জ্যাকলিন, বরুণ এবং তাপসী
পুজোর মরসুমে ছবির প্রচারে শহরে এসেছেন তিন নায়ক-নায়িকা। কিন্তু তাঁরা বেশ চিন্তিত বাংলা ছবি নিয়ে। আসলে এই পুজোয় মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবিরই সংখ্যা প্রায় আধ ডজন! তার পাশাপাশি হিন্দি ছবির ডিস্ট্রিবিউশনটাও বেশ চিন্তার বিষয়। ‘জুড়ুয়া টু’র প্রচারে এসে বরুণ ধবন অবশ্য জানালেন, তিনি কথা বলেছেন ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে। ছবিটির পরিবেশনার দায়িত্বে থাকা ‘ফক্স স্টার স্টুডিয়ো’র কাজের উপরেও ভরসা আছে তাঁর। এর আগে বরুণের অন্য ছবিগুলো কলকাতায় ভালই ব্যবসা করেছিল। ফলে এ শহরের দর্শকদের উপরে আস্থা রয়েছে নায়কের।
পুজোর গন্ধ, শাড়ি, মিষ্টিমুখ
একে দেবীপক্ষের সূচনা। তায় নায়িকা এসেছেন কলকাতায়। শাড়ি ছাড়া আর কী-ই বা পরা যেতে পারে। জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ এসেছিলেন হলুদ রঙা শাড়ি পরে। সামনে আঁচল, কোমরে বেল্ট। জ্যাকিকে নাকি অনেকেই ‘টিচার’ বলে খেপিয়েছেন। যদিও শাড়িতে বেশ মিষ্টিই লাগছিল তাঁকে। পুজোর আবহের দিকে খেয়াল রেখে জ্যাকির স্টাইলিস্ট নায়িকার জন্য শাড়িই বেছেছিলেন। শাড়ি জ্যাকির ব্যক্তিগত পছন্দও। কোনও বড় অনুষ্ঠানে শাড়ি পরাই পছন্দ করেন তিনি। ‘জুড়ুয়া টু’র সহ-অভিনেত্রী তাপসী পান্নুর পরনে ছিল সাদা শার্ট, নীল-সাদা ডোরা কাটা ছোট স্কার্ট, জ্যাকেট আর বো টাই। বরুণকে বেশ ‘কুল’ লাগছিল তাঁর স্বভাবোচিত ক্যাজুয়াল জিনস, টি-শার্ট আর ব্যান্ডানায়। সাক্ষাৎকারের শুরুতেই ‘জুড়ুয়া টু’ স্পেশ্যাল কেক আর সারি সারি খাবার আসায় আঁতকে উঠেছিলেন বরুণ-জ্যাকি-তাপসী। উৎসবের মরসুমে পেটপুরে ভূরিভোজ তো অতিথিদের জন্য মাস্ট। তবে বরুণ আর তাপসী ডায়েটের তোয়াক্কা না করেই কামড় বসাতে শুরু করলেন মাটন প্যাটিস, আমন্ড ফ্লেক্স পেস্ট্রিতে। শহরের কার্নিভালের ছোঁয়াচ লেগেছে মুম্বইবাসীদের মনেও! জ্যাকি তো বলেই ফেললেন, পুজোয় এখানে আসতে চান। মজতে চান আনন্দে।
ভাল ছেলের ভালমানুষি
বলিউডের নিয়মমাফিক লিঙ্ক আপ হয়েছে বরুণকে নিয়েও। কিন্তু তিনি মোটেও মেয়েদের পিছনে ছুটে বেড়ান না। ছবির গানেই রয়েছে, ‘‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া, পরেশন করে মুঝে ছোড়িয়া’’... সেই গানের তালে পা মেলালেও বরুণ অবশ্য দাবি করেছেন নিজের ভালমানুষির। পাশ থেকে তাপসী আবার ফুট কেটেছেন, ‘‘তা হলে কি আমরা পরেশান করেছি নাকি!’’
‘জুড়ুয়া টু’ স্পেশ্যাল কেক হাতে
ভিন্ন ধারার ছবি, একশো কোটির গল্প
‘পিঙ্ক’-এর মিনাল অরোরা হোক কিংবা ‘নাম শাবানা’র শাবানা খান— তাপসীর অন্য ধারার অভিনয়ে মজেছেন আমজনতা। সেখানে ‘জুড়ুয়া টু’ ছবিতে সামারার মতো চরিত্রে কি তিনি হতাশ করছেন না দর্শকদের? ‘‘যদি দর্শকরা চান, আমি শুধু ‘পিঙ্ক’-এর মতো ছবি করি, তা হলে সেগুলোও ১০০ কোটির ব্যবসা করুক না! আমি ‘জুড়ুয়া’র মতো ছবি দেখে বড় হয়েছি। শুধু সিরিয়াস ছবি করেই দর্শকদের কনভিন্স করা যাবে, এ কথা বিশ্বাস করি না। আই অ্যাম নট আ ক্রায়িং বেবি যে সব ছবিতেই শুরু থেকে শেষ অবধি কেঁদে যাব,’’ অকপট তাপসী।
বলিউডের চুলোচুলি
বারবারই সামনে উঠে এসেছে জ্যাকি-আলিয়ার মন কষাকষির কথা। প্রসঙ্গ উঠতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন জ্যাকি। বললেন, ‘‘ক্যাট ফাইটের ভাবনাটাই সেক্সিস্ট। মিডিয়া দেখায় যে, ঝগড়া ছাড়়া কিছু নেই আমাদের মধ্যে। আমি আলিয়াকে টেক্সটও করেছিলাম, এদের নিয়ে কী করা যায়! লোকের ভাবনা নিয়ে আমার কিছু যায়-আসে না। ইন্ডাস্ট্রি কী ভাবছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’’
তিন জনেই এ বার উঠে পড়লেন। ‘দাদাগিরি’তে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বাপি বাড়ি যা’ আর পুজোর ফিতে কাটতে ছুটতে হবে যে!
ছবি: রণজিৎ নন্দী, ফুড পার্টনার: ফ্লুরিজ