Entertainment news

‘বাঙালি কাঁকড়ার জাত’

জন্মদিনে নিজের গানের কথা বলতে গিয়ে বললেন প্রতীক চৌধুরী।প্রথম সিঙ্গলস্ করার অভিজ্ঞতা থেকে আজকের গানের জগত নিয়ে খোলামেলা আড্ডায় গায়ক।জন্মদিনে নিজের গানের কথা বলতে গিয়ে বললেন প্রতীক চৌধুরী।প্রথম সিঙ্গলস্ করার অভিজ্ঞতা থেকে আজকের গানের জগত নিয়ে খোলামেলা আড্ডায় গায়ক।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:৩২
Share:

গায়ক প্রতীক চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার ডিজিটালের তরফ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
প্রতীক:ধন্যবাদ। আজ আমার বাবার ও জন্মদিন।

Advertisement

কিন্তু এতদিন প্রতীক চৌধুরী কোথায় ছিলেন?
প্রতীক:যেখানে থাকার সেখানেই ছিলাম। তবে বেশ কিছুদিন, প্রায় বছর দুই হল রেকর্ডিং করিনি। সেই রবি ঠাকুরের গান করেছিলাম। তার আগে 'মন বাঁওরা'।এ বার ইচ্ছে হল সিঙ্গলস্ করার।

সিঙ্গলস্ এর বিষয় কী?
প্রতীক:এটা আসলে স্বাধীনতার গান। মুক্তিযুদ্ধের সময় গানটা রেডিয়োতে বেজেছিল। আমার কাছে ছিল সেই রেকর্ডিং। রেডিয়ো স্টেশনের নাম ছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। খুব কাছের গান আমার। অন্তর দিয়ে চেষ্টা করেছি গাইতে।এই গানের গীতিকার শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর করেছেন শৈলেন মুখোপাধ্যায়। এঁরা কলকাতার। গায়ক ছিলেন ঢাকার মহম্মদ আবদুল জফর। গানটি অ্যারেঞ্জ করেছেন পিন্টু ঘটক। শৌর্য ঘটক। অসাধারণ বাঁশি বাজিয়েছে বুবাই। একটাই অনুরোধ, গানটা এত সফ্ট, একটু শান্ত মনে শুনবেন। প্লিজ চঞ্চল অবস্থায় শুনবেন না। ইউটিউবে আজ গান রিলিজ হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘বাবার চিন্তাশক্তি আর মায়ের মনটা পেয়েছি’

সে না হয় বোঝা গেল। কিন্তু আপনি এত স্থির কেন?আপনাকে বিশেষ দেখা যায় না!
প্রতীক:এত লোক দেখবেন কী করে? আর মাঝে মাঝে এত বড় চেহারা নিয়েও আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকতে হয়। প্রচুর লোক, অনেক কাজ করছে। এখন ইনভেস্টমেন্ট নেই। যে কেউ চাইলে অ্যালবাম করছে।স্টুডিয়োর দরকার নেই। ভাল মাইক্রোফোন, আর পরদা থাকলেই রেকর্ডিং হয়ে যায়। তবে পেজ থ্রি-র পার্টিতে আমি যাই না। তাই ছবি দেখতে পাবেন না।

আরও পড়ুন: শাহরুখ খানের এই নায়িকা ভুগেছিলেন যৌনতার অভাব সংক্রান্ত মানসিক রোগে

এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন বাঙালি কাঁকড়ার জাত। আজ কী মনে হয়?
প্রতীক:হ্যাঁ, বাঙালি কাঁকড়ার জাত। আগে সাইজ ছোট ছিল। এখন বড় হয়েছে।কাঁকড়ার সাইজ বাড়ছে। সবাই সব খ্যাত। কেউ হয়তো রিয়্যালিটি শো-য়ের তিন নম্বর অধ্যায় থেকে বেরিয়ে এসেছে সেওঅমুক 'খ্যাত'। আগে কাজ ছিল একশোটা, আর কাজ করার লোক পঞ্চাশটা। এখন কাজ কমেছে হয়তো আশি। আর লোক হাজার। আনহেলদি কম্পিটিশন চলছে...

আপনার সিঙ্গলস্-এর নাম 'এই বাংলার নীরে'। লোকে গান শুনবে তো?
প্রতীক:গান তো লোকে শোনে। আবালবৃদ্ধবনিতার কানে হেডফোন। কথা হচ্ছে লোকে কী শোনে? বাংলা গান? সবাই তো গান করছে। প্রচুর সিঙ্গলস্ হচ্ছে। মানুষ বিভ্রান্ত! কোনটা শুনবে?এখন মানুষ পরিশ্রম করে না। আগে দোকানে যেত, উৎসাহ নিয়ে ক্যাসেট কিনে সেটা বাড়িতে এনে চালাত। এখন গুগল করলেই হল। আর বেশি কাজ হলে যা হয়, উল্টো পাল্টা কাজও হচ্ছে। বেশি কাজ করলে কাজের মান নেমে যাচ্ছে। একটা বুড়ো আঙুলের ওঠা নামায় ভাল বা খারাপ গানের সিদ্ধান্ত হচ্ছে! ভাবা যায়? এটা শিল্পীদের কাছে খুব হতাশাজনক। তার মধ্যেই নীড় খুঁজে বেড়াচ্ছি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement