সারা
প্র: মা-বাবার কোন কোন গুণ আপনি পেয়েছেন?
উ: মা এবং বাবার খুব অদ্ভুত কম্বিনেশন আমি। তবে ওদের চেয়ে একটু বেশি পাগল (হেসে)। বাবার মতো খুব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিই। আর মায়ের মন পেয়েছি। আমরা সহজে কারও সঙ্গে অ্যাটাচড হই না। এক বার হলে ছাড়ানো মুশকিল।
প্র: খুব কড়া শাসনের মধ্যে কি বড় হয়েছেন?
উ: আমি বরাবর মায়ের কাছেই থেকেছি। আমাকে আর ভাই ইব্রাহিমকে খুব যত্ন করে মা বড় করেছেন। না চাইতেই পছন্দের জিনিস হাতে পেয়ে যেতাম। মেটিরিয়্যালিস্টিক ছিলাম না। কিন্তু মা কোনও দিন অভাব বুঝতে দেননি। তবে মা সব সময়ে বলতেন, ‘ছবির সাফল্য আমি এনে দিতে পারব না। ওটা তোমাকে অর্জন করতে হবে।’
প্র: ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছিল?
উ: আমাকে বলা হয়েছিল যে, আমি যেন পড়াশোনাটা শেষ করি। আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে চেয়েছিলাম। আস্তে আস্তে যখন ভূগোল, রাজনীতি, ইতিহাস পড়া শুরু করলাম, মনে হল অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেব। কারণ আমি কী হতে চাই, সেটা তত দিনে বুঝে গিয়েছি।
প্র: এই পড়াশোনার ইচ্ছেটা বোধহয় আপনার দিদার কাছ থেকে পাওয়া...
উ: আমার যখন ১০ মাস বয়স, তখন আমার নানি (দিদা) মারা যান। মায়ের মুখে যখনই ওঁর কথা শুনতাম, আফসোস হতো কেন ওঁর সঙ্গে দেখা হল না। বই পড়তে, মিউজ়িয়ামে যেতে আমার খুব ভাল লাগে। অভিনয়ের বাইরেও আমার একটা জগৎ আছে। নানির মতোই আমিও খুব কৌতূহলী। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠান, লোকজনের প্রতি আমার খুব আগ্রহ।
প্র: আপনাকে খুব স্পষ্টবাদী মনে হয়...
উ: আমি কোনও দিন চিট করিনি। কোনও পরীক্ষাতেও নয়। কারণ সেটা আমার সহজাত ছিল না। আমি করলে ধরা পড়ে যেতাম। আর এই পেশায় ক্যামেরা অফ হলেই সব ধরা পড়ে যাবে। মিথ্যে কথা কত দিন বলব? এক না এক দিন ধরা তো পড়বই। আমি যখন কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিলাম, সেখানকার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।
প্র: এই বছরে জাহ্নবী কপূরও ডেবিউ করেছেন। আপনি কি তাতে বাড়তি চাপ অনুভব করছেন?
উ: জাহ্নবী আর আমি একে অপরকে অনেক দিন ধরেই চিনি। ওর ডেবিউ ছবি হিট হওয়ার সঙ্গে আমার ছবির সাফল্যের কোনও সম্পর্ক নেই। জাহ্নবীর জন্য সব সময়ে মন থেকে শুভকামনাই জানিয়েছি।
প্র: আপনি তো শ্রীদেবীরও বড় ফ্যান...
উ: সত্যি, শ্রীজির সঙ্গে আমার যত বার দেখা হয়েছে, তত বার উনি আমাকে খুব স্নেহ করেছেন। এক বার বিয়েবাড়িতে অমিতজির (অমিতাভ বচ্চন) সঙ্গে কথা বলছিলেন শ্রীজি। আমি ওঁকে দূর থেকে দেখছিলাম। কয়েক দিন পরে জাহ্নবী আমাকে ফোন করে বলে, ‘মা তোমার সঙ্গে কথা বলতে চায়।’ শ্রীজি ফোনে বললেন, ‘সরি, সে দিন তোমার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি।’ আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম! এত বড় সুপারস্টার আমাকে ফোন করেছিলেন শুধু ওই কথাটুকু বলার জন্য।
প্র: তৈমুরকে প্রথম বার রাখি পরিয়ে কী উপহার পেয়েছিলেন?
উ: তৈমুর ভীষণ মিষ্টি। ৫১ টাকা পেয়েছিলাম। সেই টাকাটাও ওর কাছ থেকে জোর করে নিতে হয়েছে (হেসে)। ইব্রাহিম ১০১ টাকা দিয়েছিল। আমি তৈমুরকে নিয়ে খুব প্রোটেক্টিভ। আর ইব্রাহিম আমাকে নিয়ে। ইব্রাহিম আমাকে পরামর্শ দেয়। আমাদের দু’জনের মধ্যে ও বেশি পরিণত।