ছেলে-মেয়েরাই সমীরার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা
পুজো পুজো ভাব। ‘মা’ আসার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। চারিদিকে নতুন জামার গন্ধ। শেষ মুহূর্তে মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে। শহরের যখন এই ব্যস্ততা, তারই মাঝে পার্ক স্ট্রিট চত্বরে আচমকাই দেখা মিলল অভিনেত্রী সমীরা রেড্ডির। বলা যেতে পারে, তিনিও পুজোর কেনাকাটাই করছেন পার্ক স্ট্রিটের ‘ওয়েস্ট সাইড’ থেকে। তারই মাঝে গল্প জমালেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।
প্রশ্ন: কেমন আছেন?
সমীরা: দারুণ আছি। এখন খুব কম মানুষ আছেন, যাঁরা এই প্রশ্ন করেন। ভাল লাগল, আপনি জানতে চাইলেন কেমন আছি। খুব শান্তিতে আছি।
প্রশ্ন: পুজোর সময় আগে কখনও কলকাতায় এসেছেন?
সমীরা: না, আগে কখনও আসিনি। এ বারে এসে যা প্রস্তুতি দেখলাম, ভাবছি পুজোর সময় আরও এক বার আসব। সব মণ্ডপ ঘুরে দেখতে বেশ ইচ্ছা হচ্ছে। কলকাতার একটা অন্য রকম গন্ধ আছে। এটা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
কোন পরিচয়ে খুশি হন নায়িকা?
প্রশ্ন: আপনি তো আগে এই শহরে শ্যুটিং করেছেন, কতটা বদল লক্ষ করলেন?
সমীরা: হ্যাঁ, প্রায় সাত বছর পর এই শহরে এলাম। পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর দুটো ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য এসেছিলাম। কলকাতায় এলে নিজের বাড়িতেই আছি মনে হয়। এখানকার ভেটকি মাছ অসাধারণ। সকালে ভেটকির পাতুরি খেয়ে মন ভরে গিয়েছে।
প্রশ্ন: কনটেন্ট ক্রিয়েটর, নাকি অভিনেত্রী— কোন পরিচয় পেলে বেশি খুশি হন?
সমীরা: আমি জানি না। এই দুইয়ের মধ্যে কোনও পরিচয়ই আমি চাই না। দুই ছেলে-মেয়ের মা আমি। সেই পরিচয়েই আমি বেশি খুশি। সবাই যখন আমায় প্রশ্ন করে আমি এই উত্তরই দিই। বলি আমিই সব। যখন ইনস্টাগ্রামে রিল তৈরি করতে হয়, তখন কনটেন্ট ক্রিয়েটর থেকে পরিচালনা— সবটাই তো আমি করি। তাই সেই ভাবে কোনওটাই বলতে পারব না। তাই কারও মা, কারও পুত্রবধূ এই পরিচয়েই আমি খুশি।
সমীরার থেকেও আধুনিকা তাঁর শাশুড়ি মা
প্রশ্ন: আপনার শাশুড়ি মা (মঞ্জরী বর্দে) তো আপনার থেকেও জনপ্রিয়?
সমীরা: ওহ! হ্যাঁ, বাবা উনি আমার থেকেও আধুনিকা। অগণিত ভক্ত। রক মিউজিক ভালবাসেন মা। ট্যাটুও করিয়েছেন। তাঁর বয়সি অনেকের অনুপ্রেরণা আমার শাশুড়ি।
প্রশ্ন: আবার কবে দেখা যাবে বড় পর্দায়?
সমীরা: খুব শীঘ্রই। আগামী বছরে দর্শক নিশ্চিত ভাবেই আমায় বড় পর্দায় দেখতে পাবেন।
প্রশ্ন: এত দিন বড় পর্দা থেকে দূরে, আপনার সমসাময়িক অভিনেত্রীদের থেকে কোথাও পিছিয়ে পড়েছেন বলে মনে হয়?
সমীরা: না, কখনও মনে হয় না। নিজের ইচ্ছায় এই রাস্তা বেছে নিয়েছি। তাই এই সব ভাবি না। যাঁরা নিজেদের কেরিয়ার নিয়ে ভেবে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁদের সব সময় বলি লোকে কে কী বলল সেগুলো নিয়ে না ভাবতে। আমিও সেটাই মেনে চলি।
প্রশ্ন: আপনার জীবনের অনুপ্রেরণা কে?
সমীরা: এই মুহূর্তে আমার সন্তানেরা। আমি যোগাভ্যাস করি। অনেকে বলে, রোগা হওয়ার জন্য করছেন? আমি বলি না, বেশি দিন বাঁচব বলে করছি। সন্তানদের সঙ্গে কাটাব বলে করছি। আমার জীবনের অনুপ্রেরণা ওরাই।