ঘোলের স্বাদ বৃদ্ধির সহজ কৌশল। ছবি:সংগৃহীত।
গরমে প্রাণ জুড়োতে এক গ্লাস ঠান্ডা ঘোলের তুলনা হয় না। দেশ জুড়ে ছাস খাওয়ার চল থাকলেও, বাঙালিদের পছন্দের তালিকায় থাকে হালকা মিষ্টি স্বাদের ঘোল। দই দিয়ে তৈরি পানীয়টি উপকারী তো বটেই, স্বাদেও দারুণ।
ঘোল খেয়েছেন, বানিয়েওছেন। তবে ঘোল বানানোর সময় তিন বিষয় মাথায় রাখলেই তা কিন্তু আরও সুস্বাদু করে তুলতে পারেন।
তবে ঘোল খাওয়ার আগে জানা দরকার লস্যি বা ছাসের সঙ্গে এই পানীয়ের তফাত কোথায়?
লস্যি বা ছাস দুই-ই টক দই দিয়ে তৈরি হয়। লস্যি হয় অপেক্ষাকৃত ঘন। অন্য দিকে, ছাস এবং ঘোল প্রায় একই রকম হলেও ঘোলে স্বাদমতো মিষ্টি যোগ করা হয়।
ঘোল তৈরির সময় কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?
১। লস্যিতে যেমন দই ফেটিয়ে নেওয়ার নিজস্ব পদ্ধতি আছে, ঘোলের ক্ষেত্রেও দই ফেটিয়ে নেওয়া খুব জরুরি। ঘোল পাতলা হয়। এতে জলের পরিমাণ বেশি লাগে। তবে টক দইয়ের মধ্যে অনেকটা জল দিয়ে ফেটাতে গেলে, দই দলা পাকিয়ে যেতে পারে। তাই প্রথমে দই ফেটিয়ে অল্প অল্প করে জল যোগ করে নিন।
২। ঘোলে মিষ্টি স্বাদ আনতে চিনি দেন কেউ। বদলে গুড় যোগ করতে পারেন। যে কোনও ধরনের গুড় স্বাদমতো মিশিয়ে নেওয়া যায়। ঘোলে চিনি দিলেও, নুনের ব্যবহার অনেকে এড়িয়ে যান। ঘোলের স্বাদ বাড়িয়ে দিতে পারে সামান্য নুন।
৩। দইয়ের ঘোলে বাড়তি স্বাদ যোগ করতে পারে ভাজা মশলা। জিরে, ধনে এবং মৌরি লোহার চাটুতে নাড়াচাড়া করে নিন। ঠান্ডা হলে গুঁড়িয়ে নিন। ঘোলে সামান্য পরিমাণে এই মশলা যোগ করুন।
ঘোলে পাতিলেবুর বদলে গন্ধরাজ লেবুর রস এবং পাতলা করে কেটে রাখা লেবু যোগ করলেও এর স্বাদ এবং গন্ধ দুই-ই বৃদ্ধি করা যায়।
পদ্ধতি
টক দই ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তার সঙ্গে মাপমতো জল, গুড়, মশলা, নুন, গন্ধরাজ লেবুর রস মিশিয়ে স্টিলের হাতে ব্যবহার করা ব্লেন্ডারের সাহায্যে লস্যি তৈরির কায়দায় সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিন। গন্ধরাজ লেবুর টুকরো ভিজিয়ে রাখুন। এতে ঘোল থেকে সুবাস বেরোবে। চাইলে সমস্ত উপকরণ মিক্সারে দিয়ে ঘুরিয়ে নিতে পারেন। পরে মাপমতো জল যোগ করতে পারেন।