আড্ডায় ‘বং গাই’ কিরণ
‘বংগাই’ নামেই তাঁকে চেনেন দর্শক। ১৫ জুলাই জন্মদিন কিরণ দত্তর। এ বছরের জন্মদিনটা অবশ্য অন্যরকম । অভিনেতা কিরণের হাতেখড়ি হতে চলেছে। জন্মদিনে আনন্দবাজারের সঙ্গে আড্ডায় ‘বং গাই’ কিরণ।
প্রশ্ন: ক’টা বসন্ত পার হল?
বং গাই: পাভেলদা আমাকে শিখিয়েছেন ২৫ বছরের পর থেকে উল্টো গুনতে হয়। সেই অর্থে বয়স ২৩।
প্রশ্ন: সত্যিই ২৩ ধরা হবে?
বং গাই: না-না । আমার এই ২৭ হল।
প্রশ্ন: এ বছরের জন্মদিনে বিশেষ কী পরিকল্পনা?
বং গাই: সাধারণত জন্মদিনে বাড়িতে থাকতেই ভালবাসি। তবে এই বছর খুবই বিশেষ। আমিই প্রথম ‘কলকাতা চলন্তিকা’র ঝলক দেখলাম। মাদার টেরিজার জন্মদিনের দিন যা প্রকাশ্যে আসবে।
প্রশ্ন: দিতিপ্রিয়াকে নিয়ে আগে এত মজা করেছেন। কাজ করতে ভয় লাগেনি?
বং গাই: প্রথম দিন বেশ ভয় ভয়ই করছিল। ওঁর গান নিয়ে আমি যা মজা করেছি! কিন্তু দিতিপ্রিয়া পেশাদার। কোনও অসুবিধা হয়নি।
প্রশ্ন: বিভিন্ন বাংলা ছবির দৃশ্য তুলে সেগুলো নিয়ে মজা করেন। ‘কলকাতা চলন্তিকা’ নিয়ে করবেন না?
বং গাই: আমার মনে হয় সেই প্রয়োজন পড়বে না। দর্শকের ভাল লাগবে। তবে তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে নিজের অভিনীত ছবি নিয়েও মজাদার ভিডিয়ো তৈরি করতে পারি।
প্রশ্ন: ইউটিউবার ‘বং গাই’ এখন অভিনেতা। একসময় নায়ক অঙ্কুশেকে নিয়ে মজা করার জন্য জড়িয়ে ছিলেন বিতর্কে। মজা করে ছিলেন তাঁকে নিয়ে। পরবর্তীকালে সুযোগ এলে অঙ্কুশের সঙ্গে অভিনয় করবেন?
বং গাই: (অনেক ক্ষণ ভেবে) শুধু আমি রাজি হলেই তো হল না। অঙ্কুশদাও রাজি হবে কি না সেটাও তো দেখতে হবে। আমার ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা নেই অঙ্কুশদার সঙ্গে । আমরা সবাই পেশাদার। অঙ্কুশদা রাজি হলে আমার না করার কোনও কারণ নেই।
প্রশ্ন: জন্মদিনে বান্ধবী কী উপহার দিল?
বং গাই: ওঁর আর আমার একই দিনে জন্মদিন। তাই বুঝতে পারি না কে কাকে কী উপহার দেব।
প্রশ্ন: সবাই বলে ‘বং গাই’-এর খুব অহংকার। ফোন তোলে না...
বং গাই: না এটা খুবই ভুল ধারণা। আমার মা, বাবারও একই অভিযোগ। আসলে ফোনটা এক জায়গায় থাকে, আর আমি অন্য জায়গায়। বলতে পারেন আমি হয় তো ফোনে কথা বলতে খুব ভালবাসি না।
প্রশ্ন: তাহলে এখন কি ছবিতেই মন দেবেন?
বং গাই: না, আমার দর্শকরা বেশ অভিযোগ জানাচ্ছে, কবে আবার ভিডিয়ো দেখতে পাবে। আসলে গত বছরটা ছবি আর সিরিজের শ্যুটিংয়েই কেটে গিয়েছে। এবার নিজের ভিডিয়ো তৈরির দিকে একটু মন দিতে চাই।