অহনা
ফিল্ম আর ওয়েব সিরিজ়ের মাধ্যমে বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করলেও এখনও থিয়েটারই তাঁর ফার্স্ট লাভ। দিল্লিতে থিয়েটার করার সময়ে অহনা কুমরা ডাক পেয়েছিলেন অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করার। দেড় বছর আগে শুট করা সেই ছবি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে জ়ি ফাইভে। চারটি ছবির সমাহারে তৈরি ‘ফরবিডন লাভ’-এর একটিতে অহনা জুটি বেঁধেছেন চন্দন রায় সান্যালের সঙ্গে। ‘‘চন্দনের সঙ্গে স্টেজে বহুদিন ধরেই কাজ করতে চেয়েছিলাম। শেষে সেটা এই ছবিতে হল। ফিল্মটা শুট করার পরে ভুলেই গিয়েছিলাম। মাসকয়েক আগে টোনিদার (অনিরুদ্ধ) স্ত্রী ইন্দ্রাণী ম্যাম জানালেন, ফাইনালি এটা রিলিজ় করছে ওটিটি-তে। লকডাউনে কনটেন্টের চাহিদা বেড়ে গিয়ে ভাল হয়েছে একদিকে। এক সময়ে খেটে বানানো যে প্রজেক্টগুলো পড়ে ছিল এত দিন, তা দর্শকের কাছে পৌঁছচ্ছে শেষ পর্যন্ত,’’ বললেন অহনা। সেটে এত বাঙালির মাঝে বেশ স্বচ্ছন্দই ছিলেন অহনা। কারণ কলকাতা তাঁর প্রিয় শহর। জানালেন, ফিল্ম, সিরিজ়ের শুট ছাড়াও প্রায়ই নাটকের শো করতে আসেন, রবীন্দ্রসদন, নেহরু চিলড্রেনস মিউজ়িয়ামে।
লকডাউনে পরপর মুক্তি পেয়েছিল অহনার বিভিন্ন প্রজেক্ট— ‘মর্জ়ি’, ‘বেতাল’, ‘খুদা হাফিজ়’। শেষেরটি তাঁর প্রথম কমার্শিয়াল ছবি। ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’র সময় থেকেই ‘হটকে’ চরিত্রে নজর কেড়ে এসেছেন অহনা। তাঁর স্বপ্ন, কোনও অ্যাথলিটের চরিত্রে অভিনয় করবেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ইদানীং সব স্পোর্টস ফিল্মেই দেখি একদল ছেলে, আর একজন মেয়ে। ‘এইটিথ্রি’তেও তাই, ‘ময়দান’-এও। ‘ছিছোরে’তে অতগুলো পুরুষ চরিত্র আর একটাই নারী চরিত্র! ‘চক দে ইন্ডিয়া’র পরে সে ভাবে মহিলাকেন্দ্রিক স্পোর্টস ছবি আর হল কই?’’ ‘মেরি কম’, ‘দঙ্গল’, ‘পঙ্গা’র কথা বলতেই অহনার জবাব, ‘‘এখন তো স্পোর্টস ফিল্মে যে কোনও কাউকে কাস্ট করা হয়ে থাকে। তখন মনে হয়, যদি আমাকে একবার অডিশনে ডাকত! নামী নায়িকারাও অবশ্য নায়কের সঙ্গে রোম্যান্স করার পরে এতদিনে এমন চরিত্র পাচ্ছেন।’’
ওয়েব সিরিজ়ে যে শুধু ‘সাইডকিক’ হয়ে থেকে যেতে হয় না, অভিনয়ের দেখানোর অনেকটাই সুযোগ মেলে, তা নিয়ে খুশি অহনা। লকডাউন শিথিল হতেই সোনি-র একটি আসন্ন কমেডি শো-এর জন্য শুট করলেন সদ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘হ্যাপি’ পোস্ট করতেই পছন্দ করেন। বললেন, ‘‘আমার তো রান্না করারই সময় নেই, টুইটার-ইনস্টায় ঝগড়া করব কখন?’’