শ্বেতা
যে দিন সাক্ষাৎকারটা হল, শ্বেতা জানালেন ঠিক সেই দিন, অর্থাৎ ১৫ জুন তাঁদের মাখোমাখো আলাপের সূত্রপাত। ‘মাসান’ এবং ‘হারামখোর’-এর অভিনেত্রী যে বিয়ে করছেন, সেটা তো আগেই খবর হয়ে গিয়েছে। পাত্রের নাম চৈতন্য (স্লো চিতা)। তিনি পেশায় র্যাপার। বিয়ের প্রস্তুতির ফাঁকে স্লো চিতা শুটিংও করছেন জোয়া আখতারের ‘গাল্লি বয়’-এর।
বিয়ে নিয়ে শ্বেতার কী রকম স্বপ্ন ছিল? ‘‘যে রকম সকলের হয়। পাত্র ঘোড়ায় চড়ে আসবে, তার পরে আমাকে এক টানে ঘোড়ায় তুলে নেবে! এখন কিন্তু ব্যাপারটা ভাবলে বিরক্তই হই। একে তো অত ড্রামার দরকার নেই... তাই আমাদের বিয়েতে সঙ্গীত হবে না। আর ঘোড়াদের উপরে ওই নির্যাতন আমি করতে চাই না!’’ হাসতে হাসতে বললেন। ২৮ জুন মুম্বইয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের পরে ২৯ জুন গোয়ায় পার্টি রেখেছেন শ্বেতা এবং চৈতন্য।
বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠানে শুভিকা গৌড়ার কাস্টম পোশাক পরবেন শ্বেতা। প্রথাগত কিছু অনুষ্ঠান বয়কট করছেন ঠিকই। কিন্তু শ্বেতা চান, তাঁর সব অতিথি যেন পার্টি-হুল্লোড়ে মেতে থাকেন! ‘‘বিয়ের পরেই কাজের তাড়না শুরু হয়ে যাবে। পরপর শুটিং রয়েছে। তার পর আমরা ইউরোপে যাব, হনিমুনে,’’ লাজুক হেসে জানালেন অভিনেত্রী।
কেরিয়ারের প্রথম তামিল ছবি করছেন শ্বেতা— ‘মেহন্দি সার্কাস’। জাতীয় পুরস্কারজয়ী লেখক-নির্দেশক রাজু মুরুগানের লেখা ছবি। তার আগে এ বছরই শেষ করেছেন বিক্রান্ত মেসির সঙ্গে একটি কল্পবিজ্ঞান নির্ভর ছবি ‘কার্গো’। নির্দেশক আরতি কাদভ। একটি ড্রামার কাজও রয়েছে শ্বেতার ঝুলিতে, ‘গন কেশ’। ‘‘এই ছবিটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল আমার জন্য। ১৫ বছরের এক নৃত্যশিল্পীর গল্প। কিন্তু অ্যালোপেশিয়ায় ভুগে তার সব চুল পড়ে যায়। তার পরে মেয়েটি কী করে, তাই নিয়েই ছবি,’’ ব্যাখ্যা করলেন শ্বেতা। সঙ্গে বললেন, ‘‘বিয়ের পরে জীবনে কোনও পরিবর্তন আসবে না।’’