শেফালি
প্র: ‘দিল্লি ক্রাইম’-এর পর জীবন কতটা বদলে গিয়েছে?
উ: অনেকটাই। প্রচুর প্রশংসা, সম্মান পেয়েছি বর্তিকা চতুর্বেদীর চরিত্রটির জন্য। শিগগিরই সিজ়ন টু-র শুটিং শুরু হবে। আগেরটা যে উচ্চতায় পৌঁছেছে, সেই জায়গাটা এ বারও ধরে রাখতে চেষ্টা করব।
প্র: বর্তিকার চরিত্রটির জন্য সম্প্রতি এশিয়ান অ্যাকাডেমি ক্রিয়েটিভ অ্যাওয়ার্ড পেলেন। কতটা হোমওয়র্ক করেছিলেন?
উ: নির্ভয়া মামলায় দ্রুত তদন্ত ও অভিযুক্তদের শাস্তির যে বিশদ তথ্য-বিবরণ পেয়েছিলাম, তা আমার-আপনার মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে জানা দুঃসাধ্য। তাই আমার কাছে পরিচালক রিচি মেহতার রিসার্চটাই ছিল মূল রেফারেন্স। এ ছাড়া একদিন দু’ঘণ্টার কফির আড্ডায় আলাপ করেছিলাম আইপিএস ছায়া শর্মার সঙ্গে, যিনি বাস্তবের বর্তিকা। দু’ঘণ্টার আলাপেই যতটা পেরেছিলাম, চেষ্টা করেছিলাম আসল মানুষটিকে ধরতে।
প্র: নির্ভয়া কাণ্ডের ভয়াবহতা সম্প্রতি ফিরিয়ে আনল তেলঙ্গানার ঘটনা। ‘দিল্লি ক্রাইম’, ‘মর্দানি’র মতো সিরিজ় বা ছবি আদৌ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে জনমানসে?
উ: শুধুমাত্র সিনেমা বা সিরিজ়কে যদি জনগণকে শিক্ষিত করার দায়িত্ব নিতে হয়, তা হলে সেটা ভুল বিচার করা হবে। একটা বা দুটো ফিল্ম, সিরিজ় পরিস্থিতি বদলাতে পারবে না। নির্ভয়া কাণ্ডের আতঙ্ক ফিরিয়ে আনল তেলঙ্গানার ঘটনা। শিক্ষার শুরুটা বাড়ি থেকে হওয়া প্রয়োজন।
প্র: তেলঙ্গানা এনকাউন্টারের যৌক্তিকতা নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত মত কী?
উ: এনকাউন্টারে ঠিক কী ঘটেছিল, তা কি আমরা সত্যিই কেউ জানি? আর জানি না বলেই এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাই না। শুধু এটুকু বলতে পারি, এই এনকাউন্টারকে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’ বলা চলে।
প্র: এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে বলিউডেও। আপনার অভিমত কী এ ব্যাপারে?
উ: কোনও মন্তব্য করতে চাই না এ নিয়ে। শুধু এটুকুই বলব, কোনও কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধী আমি। সেটা রাষ্ট্রের তরফ থেকে এলেও।
প্র: রাম গোপাল বর্মার ছবি দিয়ে শুরু করেছিলেন। টেলিভিশনেও চুটিয়ে কাজ করেছেন। এখন ওয়েবে নতুন ধরনের কাজ করছেন। কোন প্ল্যাটফর্মে কাজ করে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পান?
উ: কেরিয়ারের একেবারে শুরুতেই আরজিভি-র ছবিগুলো আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছিল। আর যে সময়ে আমি টেলিভিশনে কাজ করেছি, সেটা ছিল ছোট পর্দার সেরা সময়। এখন সেই মান পড়তে পড়তে তলানিতে এসে ঠেকেছে! বরং ওয়েব প্ল্যাটফর্ম এখন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। আমি বরাবরই কোয়ালিটি অব ওয়র্ককে প্রাধান্য দিই।
প্র: হিন্দি ছাড়া আঞ্চলিক ভাষার ছবি কতটা ফলো করেন?
উ: ইদানীং গুজরাতি ছবি দেখতে খুব ভাল লাগছে। মরাঠি তো রয়েছেই। তবে সত্যি কথা বলতে, বাংলা ছবি তেমন ফলো করা হয় না। যদিও এক বাঙালি পরিচালকের ছবিই (ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘দ্য লাস্ট লিয়ার’) আমায় জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়েছিল।
প্র: ‘মর্দানি টু’ মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি। দেখলেন ছবিটা?
উ: হ্যাঁ...টিপিক্যাল বলিউডি ছোঁয়া রয়েছে ছবিটায়। তবুও মন্দ লাগেনি।