‘গায়ের রঙের জন্য অনেক কথা শুনেছি’

এ সবে তাঁর কিছুই এসে যায় না। জীবনে সুখী থাকার মন্ত্র জানেন পার্নো মিত্রএ সবে তাঁর কিছুই এসে যায় না। জীবনে সুখী থাকার মন্ত্র জানেন পার্নো মিত্র

Advertisement

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৮ ০০:৫৩
Share:

পার্নো। ছবি: সুদীপ্ত চন্দ।

প্র: সাক্ষাৎকারে সাধারণত প্রথমে সোজা প্রশ্ন করে গুগলিগুলো শেষে করা হয়। আমরা বরং উল্টো দিক থেকে শুরু করি...
উ: এই রে...বুঝতে পারছি কী কী প্রশ্ন ধেয়ে আসছে!

Advertisement

প্র: মৈনাক ভৌমিকের সঙ্গে প্রেম করেন, কিন্তু এ নিয়ে কখনও কিছু বলেন না কেন?
উ: জানতাম এটা জিজ্ঞেস করবেনই। আমরা কিন্তু সত্যিই ভাল বন্ধু। ‘রঞ্জনা...’র সময়ে জাস্ট মুখ চিনতাম। তার পরে ‘বেডরুম’-এর সময়ে আলাপ। এর পর তো ‘মাছ মিষ্টি...’, ‘...গার্লফ্রেন্ডস’ করেছি।

Advertisement

প্র: প্রেমটা কবে হল আপনাদের?
উ: প্রেমের সংজ্ঞা তো সকলের কাছে এক নয়। আমি তো কেদারকেও (পোষ্য) খুব ভালবাসি (হাসি)!

প্র: বিয়ের কথা চিন্তাভাবনা করেছেন?
উ: যে দিন বাকি সব কিছু থেকে বোর হয়ে যাব, সে দিন বিয়ের কথা ভাবব।

প্র: পরিচালক বা প্রযোজকের সঙ্গে প্রেম করেই তো নায়িকারা পরপর ছবি পান। আপনি এত কম কাজ করেন কেন?
উ: ওই জন্যই তো বললাম, আমি আর মৈনাক ভাল বন্ধু। তাই আমাকে কাস্ট করে না (হাসি)! আরে, সবাই তো সবার সব ছবিতে থাকতে পারে না! ও আমাকে ‘কলকাতা কলিং’-এর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু চরিত্রটায় নতুন করে করার মতো কিছু ছিল না। মৈনাকের অন্য ছবিগুলোয় আমার করার মতো কিছু ছিল না বলেই দেয়নি। আর সেটাই তো হওয়া উচিত। ভাল সম্পর্ক বলে বেমানান কাউকে জোর করে কাস্ট করাটা উচিত নয়।

প্র: পরপর অনেক কাজ করলেন। ‘আলিনগর..’, ‘আহা রে মন’, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত এবং অরিন্দম শীলের ছবি। আর মৈনাকের ‘হ্যাপি পিল’। আপনার ভি‌জ়িবিলিটি বেড়েছে...
উ: অভিনেতাদের সব সময়ে তো এক রকম যায় না। অরিন্দমদার ছবি ছাড়া বাকিগুলো গত বছরেই শুট করেছি। একে একে রিলিজ় করছে। এর মধ্যে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর সঙ্গে ছবির কথা আলাদা করে বলব। ওই রকম প্যাশন এখনকার কোনও পরিচালকের মধ্যে দেখিনি। এত অসুস্থ উনি, তা-ও একটা সিন পছন্দ হয়নি বলে সেটা বাতিল করে দিলেন। পরের দিন নতুন সেটআপে নতুন লোকেশনে সেটা নিলেন। ভাবা যায়!

প্র: ঠোঁটকাটা বলে কি কাজ পেতে সমস্যা হয়?
উ: যারা কাজ দেয় না, তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে।

প্র: ‘হ্যাপি পিল’ করতে রাজি হলেন কেন?
উ: ভাবনাটা একদম অন্য রকম। চরিত্রও ভাল লাগল। যদি হ্যাপি পিল সত্যি থাকত, তা হলে কেমন হতো? ‘হোয়াট ইফ’ ছবি এখানে হয় না। সেই কবে ‘পরশ পাথর’ হয়েছিল। ছবিতে আমার চরিত্রটার গায়ের রং চাপা বলে সমস্যা। এই বিষয়ের সঙ্গে নব্বই শতাংশ ভারতীয় মেয়ে রিলেট করতে পারবে। আমি যেমন ছোট থেকে শুনে এসেছি, মেয়েটার গায়ের রং কালো কিন্তু মুখটা মিষ্টি। এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ছবি দিলে, ‘ব্ল্যাক বিউটি’ বলে মন্তব্য করে। ‘কেলটি’, ‘কালী’ এ ধরনের কমেন্টও করে!

প্র: তাই?
উ: একেবারেই। টেলিভিশনে কাজ করার সময়ে বলা হতো, ‘মেকআপে দু’টোন হালকা করে দাও’। এগুলো শুনতে হয়েছে আমাকে। একটা গল্প বলি। তখনও সিনেমা করিনি। গায়ের রং কালো বলে এক প্রযোজক বলেছিলেন, ‘তুমি গ্ল্যামারাস নও, সিনেমা করতে পারবে না। সিরিয়ালই করো।’ তিনি আর প্রযোজক নেই এখন। তবে ভাগ্যিস কথাটা বলেছিলেন, সেই দিনই ঠিক করে নিয়েছিলাম, সিনেমার নায়িকা হয়েই দেখাব।

প্র: আপনার হ্যাপি পিল মোমেন্ট কী?
উ: বেড়াতে গেলে খুব খুশি হয়ে যাই। ফোনটোন একদম ধরি না। বাড়িতে বোনের সঙ্গে আড্ডা আর কেদারের সঙ্গে খেললে মন ভাল হয়ে যায়। গ্যাজেট ছাড়া যদি থাকতে পারতাম, তা হলে সবচেয়ে ভাল হতো। ঠিক করেছি, যারা আমার পাবলিসিটি দেখে, তাদের আইডি, পাসওয়ার্ড সব দিয়ে দেব। ওরাই সব দেখবে।

প্র: তা হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রোল করবেন কী করে? সবার ছবিতে ভাল কমেন্ট করাটাও তো এখন পিআর-এর একটা অংশ।
উ: পাবলিসিস্টরাই করে দেবে (হাসি)! সব নেটওয়ার্কিং সাইট নিজে দেখি না। নিজে শুধু ইনস্টাগ্রাম করি।

প্র: ফোন না থাকলে কিন্তু গসিপও করতে পারবেন না।
উ: মানে? আমিই একমাত্র গসিপ করি! চাইলে এমন অনেকের নাম বলতে পারি, যারা আমার চেয়েও বেশি গসিপ করে। কিন্তু বলব না (হাসি)!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement