‘জবা’ চরিত্রের লুকে পল্লবী।
অভিনয়ে কী ভাবে এলেন?
জীবনে সবকিছু আমাদের আয়ত্তে থাকে না। আমারও অভিনয়ে আসা সেরকমই। প্ল্যানিং করে, অডিশন দিয়ে আমি অভিনয়ে আসিনি। ঘটনাচক্রে এসে পড়েছি।
একটা পার্টিতে এক পরিচালকের সঙ্গে আমার দেখা হয়। উনি আমাকে ‘নদের নিমাই’ সিরিয়ালে লক্ষ্মীপ্রিয়া চরিত্র করার জন্য পাঠান। আমিও রাজি হয়ে যাই। তো সেখান থেকেই আমার শুরু। এরপর যা হয়, আলাপ পরিচয়ের সূত্রে আরও কাজ পাই। তাই বলতে চাইছি যে খুব প্ল্যানিং করে অভিনয়ে আসিনি।
যখন কাজ শুরু করেন তখন কোন ক্লাসে পড়তেন?
যখন প্রথম কাজ শুরু করি তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি।
ভিতরে ভিতরে কিছু একটা করার ইচ্ছে ছিল?
আমি ভীষণ ভাবে বিশ্বাস করি যে আমাকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট হতে হবে। সেটা অভিনয় করে হোক বা কোনও চাকরি করে হোক। আমাকে আর্থিকভাবে, মানসিকভাবে স্বনির্ভর হতে হবে। যেহেতু আমি অভিনয়ে আছি তাই অভিনয়কেই আমার প্রফেশন করে নিয়েছি। আমি যদি ইন্ডাস্ট্রিতে না আসতাম তা হলেও যে কোনও প্রফেশনে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করতাম। আমি জানতাম আমাকে দাঁড়াতে হবে, সে যেভাবেই হোক, যে কোনও প্রফেশনেই হোক।
ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।
আরও পড়ুন: একটা ফাঁকা ছেলে খুঁজে দিন, আই উইল লভ টু ডেট, বলছেন স্বস্তিকা
জবা ও পল্লবীর কোনও মিল বা অমিল আছে?
ধারাবাহিকের গল্পে দেখানো হয়েছে যে ছোটবেলায় জবার মা-বাবা মারা যায়। সে অন্যদের কাছে বড় হয়। অন্যদের কাছে সে আশ্রিত। আমার ক্ষেত্রেও বিষয়টা অনেকটাই এক। ছোটবেলায় আমি বাবা-মাকে হারিয়েছি। আমার মা যখন মারা যান তখন আমি ক্লাস থ্রিতে পড়ি। ক্লাস টেনে যখন পড়ি তখন বাবা মারা যান। তো আমি ফ্যামিলির অন্য সদস্যদের কাছে বড় হয়েছি। মূলত পিসি আমাকে বড় করেছেন। সেটা জবার সঙ্গে আমার একটা বড় মিল। অমিল হয়তো আছে। কারণ দু’জনে একেবারে ভিন্ন মানুষ। ভিন্ন ব্যক্তিত্ব। জবা তার ফ্যামিলির সদস্যদের সঙ্গে থাকে। আমি একাই থাকি। আগে পিসির সঙ্গে থাকতাম। কিন্তু পরে নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসি।
বাবা-মা না থাকার যে অনিশ্চয়তা সেটাই কি স্বনির্ভর হতে সাহায্য করেছে?
ফ্যামিলিতে সবাই থাকলেও বাবা-মার জায়গা তো কেউ নিতে পারে না। সেটা কখনওই সম্ভব নয়। তবে একাকীত্ব, অনিশ্চয়তা এ সব নিয়ে খুব একটা ভাবার সময় পাইনি। কারণ খুব ছোট থেকেই আমি কাজ শুরু করি। বাবা মারা যাওয়ার পরেও আমি দু’বছরের গ্যাপ নিয়ে ক্লাস ইলেভেন-টুয়েলভ কমপ্লিট করি। তার পরে আবার ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকে অভিনয় শুরু করি। তারপরেও বলব, বাবা-মা না থাকার অভাবটা থেকেই গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সারপ্রাইজ দিতে চলেছেন মধুমিতা, কী জানেন?
‘কে আপন কে পর’ সিরিয়ালের একটি দৃশ্য।
শুটিংয়ের মাঝে কী করেন?
আমরা যেহেতু সারাদিন একসঙ্গে থাকি, একটা পরিবারের মতো হয়ে যাই। আড্ডা হয়, গল্প হয়। খুব বেশি ফাঁক থাকলে আমরা সিনেমা দেখি। আমাদের কাছে ল্যাপটপ থাকেই। বা গান শুনি।
জবার লুকস চেঞ্জ হয়...
জবার লুকস বহুবার চেঞ্জ হয়েছে। তবে ম্যাসিভ চেঞ্জ হয়েছে গল্পে ১২ বছরের একটা গ্যাপের পর। প্রথমদিকে জবা ছিল গ্রামের মেয়েদের মতো। উঁচু করে গাছকোমর করে জবা শাড়ি পরত। মাথার দু’পাশে দুটো বিনুনি ঝুলতো। এখন জবার লুকস একজন শিক্ষিত মহিলার যেরকম লুকস হওয়া উচিত সেরকমই। তবে জবা সবসময় শাড়ি পরে।
জবা তো শাড়ি পরে। পল্লবী কী পছন্দ করে?
আমিও শাড়িই পছন্দ করি। তবে দৌড়ঝাঁপ থাকলে আমি জিনস, টি শার্ট পরতে পছন্দ করি।
(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবর আমাদের বিনোদন বিভাগে।)