Rafiath Rashid Mithila

সৃজিতের জামদানি, আব্বুর পুডিং আর আইরার গানে কাটছে মিথিলার জন্মদিন

জন্মদিনে আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বার বার সৃজিতের কথাই বলছেন মিথিলা।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২০ ১৭:০৪
Share:

মিথিলা।

আজ এই স্তব্ধ পৃথিবীতে কাছের মানুষদের আরও কাছে আনতে আসছে...।কয়েক দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন মিথিলা। কথাও ছিল সেরকম, আফ্রিকার শুট সেরে সৃজিত আসবেন মিথিলার কাছে, ইদের জন্য। মিথিলার জন্মদিনের জন্য। বিয়ের পরে প্রথম জন্মদিন লকডাউনের জন্য সৃজিতের সঙ্গে দেখা হল না তাঁর, খানিক বিষণ্ণ মিথিলা আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন, “সৃজিতের মন খারাপ, ও আসতে পারল না। তবে আয়রা খুব উত্তেজিত। একে মায়ের জন্মদিন তায় ইদ!মায়ের জন্মদিনে গান গেয়েছে আয়রা। সন্ধেবেলা আমার বোন আসবে ও কাছেই থাকে, তখন সৃজিতের দেওয়া শাড়িটা পরব।” কথা প্রসঙ্গে মিথিলা বললেন, জন্মদিন বলে আলাদা করে কিছু কেনাও হয়নি আর সৃজিতও কিনতে পারেনি। “সৃজিত মাদার’স ডে-তে আমায় অনলাইনে জামদানি কিনে দিয়েছিল। আজ সন্ধেবেলা সেটাই পরব!আব্বু পুডিং বানিয়েছে। সেটাই কেক ভেবে কাটব! আর বাড়িতে রোস্ট পোলাও, পায়েস হয়েছে...ইদে খাওয়াটা একটা বড় ব্যাপার।” বললেন মিথিলা। বউয়ের প্রথম জন্মদিনে সৃজিত পোস্ট করেছিলেন ফয়েজের গান, “চাঁদ রোজ অর মেরি জান’ বলে লিখেছেন সৃজিত,“কুছ দিন ইস্তারা অর হ্যায় জিনা।”

Advertisement

জন্মদিনে আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বার বার সৃজিতের কথাই বলছেন মিথিলা। “আমাদের লেক গার্ডেনসের বাড়ির অবস্থা তো এখনও খারাপ! জল নেই। কলকাতার ছবি দেখছি ভয়ানক! সৃজিতের মা ফোন করেছিলেন। বলেছেন, পরের জন্মদিন আমরা একসঙ্গে কাটাবো”,নরম গলায় বললেন মিথিলা। বিয়ের পর প্রথম ইদ, তাই সৃজিতকে নিয়ে আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুদের বাড়ি দাওয়াতে যাওয়ার ইচ্ছেও ছিল মিথিলার।তিনি মজা করে বললেন, “আমার সব ভাইবোন সব্বাই প্ল্যান করেছিল সৃজিত এলে ইদের প্রথা অনুযায়ী ওকে সালাম জানিয়ে সালামি নেবে, মানে টাকা নেবে! এই প্ল্যানটাও ভেস্তে গেল আর সৃজিত এ যাত্রায় বেঁচে গেল!”

আরও পড়ুন- রানা ডাগ্গুবতীর বাগদানে তারকাদের মেলা, দেখে নিন ফোটো অ্যালবাম

Advertisement

সৃজিতকে মিস করছেন মিথিলা

ইদের সময় মেয়ে আয়রাও বাড়িতে থাকে না, জানালেন মিথিলা। “ও বাড়ি বাড়ি যায় সালাম করতে আর সালামি পায়। ওতেই ওদের মজা। একটা ব্যাগ সঙ্গে করে নিয়ে যায়। যে যা দেয়, সেটা নিয়ে বাড়ি ফিরে ব্যাগটা আমায় দিয়ে দেয়। ও বাইরে যেতে পারছে না। তবে নতুন জামা পরেছে”,হেসে বললেন মিথিলা। লকডাউনের নিয়ম মেনেই নিজের মতো করে মেয়ে, পরিবারকে নিয়ে আনন্দে থাকার চেষ্টা করলেও কোথাও মিথিলার মনের কোণে জমেছে বর্ষার গাঢ় মেঘ। সেই মেঘের নাম সৃজিত...।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement