নিখিল জৈন।
এ বার চমক দেওয়ার পালা নিখিল জৈনের। খুব শিগগিরি তিনিও অনুরাগীদের তাঁর মতো করে উপহার দিতে চলেছেন। কী সেটা? শনিবার, সপ্তাহান্তের প্রথম দিনে নিখিল ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োয় জানিয়েছেন, তিনি কস্তুরি মৃগনাভির সন্ধান পেয়েছেন! যা নাকি হরিণীর নিজের শরীরেই থাকে। অথচ সে তার বিন্দুবিসর্গ জানতে পারে না। উল্টে পাগলের মতো সেই সুগন্ধের খোঁজ করে চলে। তাঁর আরও দাবি, হরিণীর এই তৃষ্ণাই ‘মৃগতৃষ্ণা’ রূপ নিয়ে পুজো উপহার হিসেবে খুব শিগগিরি সামনে আসতে চলেছে। যা নারীর রূপের অহঙ্কারকে আরও একটু উসকে দেবে।
বস্ত্র ব্যবসায়ী জানেন, কী ভাবে নারীকে সাজাতে হয়। তিনি বোঝেন, নারীর আসল সৌন্দর্য নারীর ভিতরেই ঘুমিয়ে থাকে। সাজসজ্জা তাকে জাগিয়ে তোলে মাত্র। এই অভিজ্ঞতা সম্প্রতিই তাঁর হয়েছে। সবাই যখন নুসরত জাহান, তাঁর সন্তান, সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে ব্যস্ত নিখিলও ব্যস্ত ছিলেন নিজের মতো করে। সবার চোখের আড়ালে তিনি খোঁজ করছিলেন নারীর প্রকৃত সৌন্দর্যের। তাঁর মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল, এক জন নারী কখন সুন্দরী? নিজেকে সাজালে? নাকি অন্তরের শুদ্ধতায়, সরলতায়? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে তিনি বেনারস পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি খোঁজ পান, সরল, ছিমছাম জীবনের। যে জীবন তাঁকে দেখিয়ে দিয়েছে, সরলতার মতো সুন্দর আর কিছু নেই
নিখিল দেখেছেন, প্রত্যন্ত গ্রামের এক পরিবার কী ভাবে যোগাযোগ মাধ্যম, নেটদুনিয়া থেকে দূরে সরে নিজেদের সৃষ্টিতে আত্মমগ্ন। তাঁদের হাতের ছোঁয়ায় অনায়াসে জন্ম নিচ্ছে অপূর্ব শিল্পসম্ভার। নিখিল তাঁদের সৃষ্টি ধার নিয়েছেন। বেনারসের প্রত্যন্ত গ্রামের সেই সরল জীবনযাত্রা, শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর পুজো উপহারে। যার নাম ‘মৃগতৃষ্ণা’।