প্রযোজক দেব মানেই নিত্য নতুন চমক।
৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে খুলে গিয়েছে প্রেক্ষাগৃহ। অতিমারির ভয় সরিয়ে ‘প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ’-এই বোর্ডও ঝুলেছে বেশ কিছু হলে। দীর্ঘ দিন পর বড় পর্দায় ভাল ছবি দেখার ইচ্ছে নিয়ে দর্শকেরাও পা রাখছেন সেখানে। এ ভাবেই গোটা পরিস্থিতি যখন ধীরে ধীরে সিনেপ্রেমীদের অনুকূলে, তখনই বৃহস্পতিবার পুজোর মুক্তি ঘোষণা করলেন দেব অধিকারী। দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্সে নেট মাধ্যমে জানায়, এ বারের পুজোয় সাংসদ-তারকা দর্শক-অনুরাগীদের নিয়ে যাবেন বোম্বাগড়ে। তাঁর বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘হবু চন্দ্র রাজা গবু চন্দ্র মন্ত্রী’র মাধ্যমে।
২০১৯-এ প্রযোজক দেব, পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় ঘোষাণা করেন তাঁদের আগামী ছবি ‘হবু চন্দ্র রাজা গবু চন্দ্র মন্ত্রী’র কথা। দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ‘দাদা মশাইয়ের থলে’র দু’টি গল্পকে নিয়ে ছোটদের জন্য ছবি বানিয়েছেন অনিকেত। গল্প বলছে, হবু চন্দ্র রাজার রাজ্যের নাম বোম্বাগড়। সে এক মজার রাজ্য। সেখানে রাজা আর তাঁর মন্ত্রী গবু চন্দ্রের ‘একুশে আইন’ চলে। হবু চন্দ্র রাজার রানি কুসুম কুমারী। রূপকথার ঢঙে, কৌতুকে মোড়া ছবি আদতে একুশ শতকের কথাই বলবে, এমনটাই জানিয়েছিলেন তাঁরা। ছবিতে রাজা-রানি-মন্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যথাক্রমে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়। অতিমারি থাবা না বসালে ২০২০-র গরমের ছুটিতে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবির। সেই মুক্তি পিছিয়ে হচ্ছে ২০২১-এর পুজোয়।
প্রযোজক দেব মানেই নিত্য নতুন চমক। তাঁর সৌজন্যে এই ছবির হাত ধরে প্রথমবার ‘বাহুবলী’-র সেটে কোনও বাংলা ছবির শ্যুট হয়েছে। ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে কবীর সুমন। তাঁর হাত ধরে বাংলা খেয়াল শুনতে পাবেন দর্শক-শ্রোতা।