গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
খুব শিগগিরি খুলতে চলেছে সিনেমা হল।বহু প্রতীক্ষার পরে ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ আর ‘গোলন্দাজ’ যে অনলাইনে নয়, সিনেমা হলেই মুক্তি পেতে পারে, এমন এক ভিডিয়োর মাধ্যমে সরাসরি এই খবর জানালো প্রযোজক সংস্থা এসভিএফ।তাদের বক্তব্য, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর আর সিনেমা সিনেমাহলে’।
কী বলছেন ‘গোলন্দাজ’-এর নায়ক দেব? “আমার মনে হয় সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরের শুরুতে সিনেমা হল খুলে যাবে।নিউ নর্মালে দূরত্ব মেনে, সব কিছু চেক করেই মানুষ হলে আসবে। ভাবুন তো, সিনেমা হলের কর্মীদের অবস্থা! আর কত দিন তাঁরা রোজগার না করে থাকবেন? তাঁদেরও তো সন্তান আছে।” সিনেমা হল খুললে যদি দর্শকের সামনে ‘গোলন্দাজ’ আসে তা নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহী অভিনেতা সাংসদ দেব।
অন্যদিকে ‘কাকাবাবু প্রত্যাবর্তন’ নিয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালেকে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় বললেন, “প্রেক্ষাগৃহে ছবি আনা সম্পূর্ণ প্রযোজকের সিদ্ধান্ত। তবে কাকাবাবু হলে রিলিজের ক্ষেত্রে আমার যা কাজ তা আমি শেষ করে রেখেছি। আসলে পুজো রিলিজ ভেবেই তো ছবিটা করেছিলাম।হলে এলে তো ভালই হবে।”
আরও পড়ুন- ‘নকশাল আমল’ ফিরে আসবে এ বারের পুজোয়? কী হবে ‘উৎসবের পরে’?
পরনে সাদা পাঞ্জাবি। গায়ে জড়ানো শাল। হেয়ার স্টাইলেও খানিক সেকেলে ভাব। ভারতীয় ফুটবলের জনক নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারীর ভূমিকায় ধরা দিয়ে প্রথমথেকেই দর্শকের আগ্রহ বাড়িয়েছিলেন দেব। কোনওদিন ফুটবল খেলেননি, অথচ ভারতীয় ফুটবলের জনকের ভূমিকায় অভিনয় করবেন। অতঃপর কসরতও কম করেননি দেব। মাস দু’-তিনেক ধরে হাজার ব্যস্ততার মাঝেও ভোরবেলা-সকাল-বিকেল যখন সময় পেয়েছেন পায়ে ফুটবল নিয়ে মাঠে ঘাম ঝরিয়েছেন। অভিজ্ঞ ফুটবলারদের কাছ থেকে রপ্ত করেছেন ময়দানের কৌশলও। গায়ের রঙে সাদৃশ্য আনার জন্য ‘ট্যানড’ হয়েছেন। চরিত্রের প্রয়োজনে কুস্তিও শিখেছেন দেব। আর হ্যাঁ, খালি পায়েও ফুটবল খেলা প্র্যাকটিস করেছেন। পরিচালক ধ্রব বন্দ্যোপাধ্যায় রেফারেন্স হিসেবে কম বয়সের নগেন্দ্রপ্রসাদের ছবির ভিত্তিতে লুক তৈরি করেছিলেন দেবের।
মাত্র ১০ বছর বয়সে ময়দানে গোরা সৈন্যদের ফুটবল খেলা দেখে আকৃষ্ট হয়েছিলেন এই বাঙালি। নগেন্দ্রপ্রসাদ আদতে জমিদার বাড়ির ছেলে। দেবের মেক আপেও সেই জমিদারি বাঙালিয়ানা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। এই নতুন দেবকে সিনেমা হলে দেখার জন্য দর্শক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন- গ্রেফতারের জন্য তৈরি রিয়া, দাবি আইনজীবীর
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছবি রিলিজে সায় ছিল না সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাকাবাবু মুক্তির কথা কখনওই ভাবেননি তিনি। তা হলে এ বার পুজোয় কি সুদূর মাসাইমারা, কিনিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা? ভিসা তো লাগবেই না, সঙ্গে থাকবে কাকাবাবু-সন্তু। লকডাউনে এর চেয়ে ভাল খবর আর কী হতে পারে?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল’ গল্পটি অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এবারের কাকাবাবু সিরিজ। ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’-এসবচেয়ে খুশি ‘কাকাবাবু’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ‘একেন বাবু’ খ্যাত অনির্বাণ ভট্টাচার্যও অভিনয় করছেন এই ছবিতে।