ক্যাটস আই। টিকলো নাক। ছকভাঙা সৌন্দর্যের সালমা আগাকে অভিনয় তো বটেই, গানের জন্যও মনে রাখবে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি।
করাচিতে জন্ম সালমার। ন’বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে লন্ডন চলে যান। ১৬ বছর বয়সে লন্ডনে বসবাসকারী এক পাক বংশোদ্ভূতকে বিয়ে করেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ফের মুম্বইতে ফিরে আসেন সালমা।
ছোট থেকেই ধ্রপদী সঙ্গীতের তালিম নিতেন সালমা। বোন সাবিনাকে সঙ্গে নিয়ে একটি গানের দলও তৈরি করেন। ‘এবিবিএ’ নামে তাঁদের একটি গানের অ্যালবাম বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। অভিনয় নয়, পেশা হিসেবে গানই ছিল তাঁর প্রথম পছন্দ।
মুম্বইতে প্রথম বি আর চোপড়ার একটি ছবিতে প্লেব্যাকের জন্য অডিশন দিতে গিয়েছিলেন সালমা। তখনই তাঁকে অভিনয়েরও প্রস্তাব দেন চোপড়া। প্রথমে তাতে গুরুত্ব না দিলেও, পরে গান-অভিনয় এক সঙ্গে করতে রাজি হয়েছিলেন সালমা।
বলিউডে সালমার ডেবিউ হয়েছিল বলদেব রাজ চোপড়া পরিচালিত ‘নিকাহ’ ছবিটি দিয়ে। মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮২-র ২৪ সেপ্টেম্বর।
কিন্তু ছবি মুক্তির আগেই সালমার গাওয়া ‘দিল কে আরমান’ গানটি তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। এমনকি সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। গানের মতো তুমুল জনপ্রিয় না হলেও ছবিটি অবশ্য বেশ ভাল ব্যবসা করে।
পরের ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৪-তে। বব্বর সুভাষ পরিচালিত ‘কসম প্যায়দা করনেওয়ালি কি’। এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন সালমা। শোনা যায়, সে সময় ছবির কোনও কোনও পোস্টারে সালমার ছবি বড় করে থাকায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মিঠুন।
দ্বিতীয় ছবিতেও গান গেয়েছিলেন সালমা। ফিল্মফেয়ারের নমিনেশন পেলেও সে বার আর পুরস্কার পাননি তিনি।
এর পর একে একে ১৯৯১ পর্যন্ত ‘সালমা’, ‘উঁচে লোগ’, ‘জঙ্গল কি বেটি’, ‘মহাবীরা’, ‘মিত মেরে মন কে’র মতো ছবিতে অভিনয় করেন সালমা। বেশ কিছু ছবিতে একাধিক জনপ্রিয় গানও গেয়েছিলেন।
পরে অভিনয়ের সংখ্যা কমিয়ে দিলেও গান ছাড়েননি। মেহেদি হাসানের সঙ্গে গজলের অ্যালবামও করেছিলেন সালমা।
ব্যক্তিগত জীবনে এখনও পর্যন্ত তিন বার বিয়ে করেছেন সালমা। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে— লিয়াকত্ আলি খান এবং সাশা আগা। মায়ের মতো সাশাও নাকি বলিউডে কেরিয়ার তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
৬২ বছরের সালমা ইদানিং মুম্বইতে থাকেন। বিভিন্ন প্রজেক্টে প্রযোজক হিসেবে কাজ করেন তিনি।