নব্বইয়ের দশকে যাঁরা বড় হয়েছেন, তাঁদের কাছে ইনি শাহরুখ খানের নায়িকা ‘অ্যানা’। মনে পড়ে ‘কভি হাঁ কভি না’-রএই নায়িকাকে?
তিনি অভিনেত্রী, গায়িকা, লেখিকা, চিত্রশিল্পী। বহুমুখী এই প্রতিভার নাম সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি।
শেখর কপূরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুচিত্রার। পরবর্তীতে বিচ্ছেদও হয়ে যায়। তিনি সিঙ্গল মাদার হিসাবেই সন্তানকে মানুষ করেছেন।
স্পষ্টবক্তা হিসেবে সুচিত্রার নাম আছে। সোনু নিগমের পাশাপাশি আজান-বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল তাঁরও।
‘মি টু’ ক্যাম্পেন প্রসঙ্গে সুচিত্রা বলেছিলেন, ‘‘অনেক বছর আগেই আমি এই বিষয়ে কথা বলেছিলাম। মহিলাদের প্রতি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ হওয়া উচিত। এতে যদি আসল উদ্দেশ্য সিদ্ধ না হয়, তবে তা দুঃখের।”
শেখর ও সুচিত্রার মেয়ে কাবেরী সঙ্গীত শিল্পী প্রশংসিত হয়েছেন ইতিমধ্যেই। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও একটা মারাত্মক অসুখে ভুগেছিলেন তিনি। সেটি কী জানেন?
অ্যাফালাটোসিস নামে একটি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুচিত্রা। এটি হয় দীর্ঘ দিন কোনও মানুষ যদি যৌন সম্পর্কে না থাকেন, সেই অভাব বোধ থেকে।
এই রোগটিকে ‘সেক্সুয়াল অ্যারাউসাল ডিসঅর্ডার’ও বলা হয়ে থাকে। বিরল এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার কথা সুচিত্রাই জানিয়েছিলেন একটি সাক্ষাৎকারে।
রামগোপাল বর্মা পরিচালিত ‘রণ’ ছবিতে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল।
২০১৩ সালে ‘ড্রামা কুইন’ নামে একটি বই প্রকাশ পায়। তার ভিত্তিতে লেখা একাঙ্ক নাটকটি গত বছর মঞ্চস্থ করেন সুচিত্রা।