একাধারে ঋষি কপূর, অন্যদিকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দু’জনের ছবিতেই সমান তালে কাজ করেছেন এই নায়িকা। ডাকসাইটে সুন্দরী বলা হত তাঁকে।
হায়দরাবাদে জন্মালেও পরবর্তীতে কাজ করেছেন মুম্বই থেকে। শাবানা আজমির আত্মীয়া তিনি।
বলিউড অভিনেত্রী তব্বু তাঁর বোন। এই নায়িকাকে মনে পড়ে?
১৯৮৫ সালে যশ চোপড়ার ব্যানারের ছবি ‘ফসলে’ দিয়ে বলিউড ডেবিউ হয়েছিল তাঁর। আট ও নয়ের দশকের শেষে তিনি দাপটে কাজ করেছেন ছবিতে। মহেন্দ্র কপূরের ছেলে রোহন কপূরের বিপরীতে কাজ করেছিলেন।
এই নায়িকার নাম ফারহা নাজ হাসমি। ১৯৮৬ সালের ‘নসিব আপনা আপনা’ ছিল ল্যান্ডমার্ক ছবি।
এর পর ইমানদার, হামারা খানদান, নাকাব, ইয়াতেম, বাপ নম্বরি, বেটা দশ নম্বরি, ভাই হো তো অ্যায়সা, সওতেলা ভাই ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।
ফারহার সঙ্গে ‘আমার তুমি’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। ‘বলছি তোমার কানে কানে’ গানটি ছিল সুপারহিট।
‘উও পেয়ার আয়েগি’, ‘বেগুনা’ ছবিগুলি পেয়েছিল দর্শকদের প্রশংসা।
জওয়ানি জিন্দাবাদ, ইসি কা নাম জিন্দগি নামের দুটি ছবিতে আমির খানের সঙ্গেও কাজ করেছেন নায়িকা। কিন্তু বক্স অফিসে মেলেনি সাফল্য।
রাজেশ খন্না ও বিনোদ খন্নার সঙ্গে তাঁর জুটি ছিল দর্শকদের কাছে সুপারডুপার হিট। ‘কারনামা’ ছবিতে তাঁর অভিনয় মনে থেকে গিয়েছে সিনেপ্রেমীদের।
দারা সিংহের ছেলে অভিনেতা বিন্দু দারা সিংহের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়, তাঁর একটি ছেলেও রয়েছে। সেই সময় থেকেই বলিউডে নায়িকার চরিত্রে কাজ সেভাবে পাচ্ছিলেন না তিনি।
প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদও হয়ে যায় ফারহার। ধরিত্রীপুত্র, ইজ কি রোটি, মোকাবিলা ছবিগুলিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করছিলেন।
হিমেশ রেশমিয়া প্রযোজিত অমর প্রেম, আহা, আন্দাজ এই ধারাবাহিকগুলিতে অভিনয় করতেন ২০০০ সাল নাগাদ। ২০০৪ সালে ফিরে আসেন ‘হালচাল’ ছবির মাধ্যমে।
সুমিত সায়গল নামের এক অভিনেতাকে বিয়ে করেন তিনি। অভিনেত্রী শায়েষা সায়গল সুমিতের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মেয়ে।
এখন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিচারকের কাজ করেন তিনি। কিন্তু মূল ধারার ছবি থেকে অনেকটাই দূরে। পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটাতে পছন্দ করেন ফারহা।