এঁরা এখন বলিউডের পরিচিত মুখ। বাবা-মার পরিচয়ে নয়, বরং নিজেরাই অভিনয়ের বলে নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করে নিয়েছেন। কিন্তু জানেন কি এঁরা না থাকলে আজ হয়তো বলিউডে আসাই হত না এই স্টার-কিডদের?
মহেশ ভট্টের মতো একজন বড় পরিচালকের মেয়ে। তবে বলিউডে প্রবেশ কর্ণ জোহরের হাত ধরে। বুঝতেই পারছেন কার কথা হচ্ছে। আলিয়া ভট্ট। আলিয়া ভট্ট এবং ডেভিড ধবনের ছেলে বরুণ ধবন এই দুই স্টার-কিডকে বলিউডে আনার পিছনে রয়েছেন কর্ণ জোহর। ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ফিল্মই তাঁদের বলিউড ডেবিউ।
আলিয়া ভট্টের ফিল্ম ডেবিউ বাবার হাত ধরে হয়নি। কিন্তু দিদি পূজা ভট্টকে বলিউডে প্রথম কাজের সুযোগ করে দেন বাবা মহেশ ভট্টই। ইমরান হাসমিকেও এই সুযোগ দিয়েছিলেন তিনিই।
জ্যাকি শ্রফের ছেলে টাইগার শ্রফ বলিউড ‘হিরোপন্তি’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন। আর তাঁকে এই ছবিতে কাজের সুযোগ দিয়েছিলেন পরিচালক সাজিদ নাদিয়াওয়ালা।
ইন্ডাস্ট্রিতে কত জনকে যে সলমন খান সাহায্য করেছেন তা সকলেরই জানা। কিন্তু যদি স্টার-কিডদের সাহায্যের কথা বলতে হয়, তা হলে সুনীল দত্তের মেয়ে আথিয়া আর আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূর্যের কথা বলতে হয়। আর বর্তমানে বোনের স্বামী আয়ুষ শর্মাকে সাহায্য করছেন তিনি। আয়ুষের নতুন ফিল্ম ‘লভরাত্রির’ শুটিং চলছে।
আমির খান তাঁর ভাইপো ইমরান খানকে সুপারহিট ডেবিউয়ের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ‘জানে তু ইয়া জানে না’ ছবিতে অভিনয় করে ইমরান খান নজর কাড়েন।
বনি কপূরের ছেলে অর্জুন কপূরের বলিউডে আসা পরিচালক আদিত্য চোপড়ার হাত ধরে। তাঁর প্রথম ফিল্ম ছিল ‘ইসকজাদে’।
বাবা ধর্মেন্দ্রই তাঁকে বলিউডে নিয়ে আসেন। তাঁর প্রথম ফিল্ম ‘বরসাত’।
ফিল্ম ‘সাওয়ারিয়া’ই ছিল রণবীর কপূর এবং সোনম কপূরের প্রথম ফিল্ম। পরিচালক সঞ্জয়লীলা ভন্সালী তাঁদের এই সুযোগ দেন।
সানি দেওল এখন তুমুল ব্যস্ত। খুব তাড়াতাড়ি তাঁর পরিচালনায় ‘পল পল দিল কে পাস’ ছবিটি মুক্তি পাবে। এই ছবিতে ছেলে কর্ণ দেওলকে লঞ্চ করছেন তিনি।
‘প্রেম আগন’ ছবি দিয়েই বলিউড কেরিয়ার শুরু ফরদিন খানের। বাবা ফিরোজ খানই এই ছবিতে তাঁকে অভিনয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন।