তরুণ প্রজন্মের মধ্যে র্যাপের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। গত শতাব্দীর নয়ের দশকে ভারতে র্যাপের জোয়ার এনেছিলেন বাবা সহগল। বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন। তার পর থেকে অনেক র্যাপার এসেছেন দেশে। তাঁদের মধ্যে একটা বিষয়ে খুব মিল। ওঁরা কখনও আসল নাম ব্যবহার করেন না। সে হানি সিংহই হোক বা বাদশা। তাঁদের আসল নাম কী জেনে নেওয়া যাক।
ইয়ো ইয়ো হানি সিংহ: পঞ্জাবের হোসিয়ারপুরে জন্ম। তাঁর আসল নাম হির্দেশ সিংহ। ব্রিটেনের ট্রিনিটি স্কুল থেকে মিউজিক নিয়ে পড়াশোনা করেন। দিলজিৎ দোসাঞ্জ-এর সঙ্গে তাঁর ‘লাক ২৮ কুরি দা’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। তার পর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক বলিউড থেকে অফার আসে।
সকল পে মত যা ছবিতে গান গেয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। মস্তান ছবিতে একটা গানের জন্য ৭০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। বলিউডের সব থেকে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া গায়কের মধ্যে হানি সিংহ অন্যতম।
হার্ড কউর: উত্তরপ্রদেশের কানপুরে জন্ম। ছোটবেলাতেই তাঁর বাবা মারা যান। মা এক ব্রিটিশ নাগরিককে বিয়ে করেন। তার পর তাঁরা বার্মিংহামে চলে যান। সেখানেই পড়াশোনা করেন তিনি। পড়াশোনা শেষে র্যাপার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন।
২০০৭-এ ‘এক গ্লাসি’ গানটি ব্রিটেনে বেশ জনপ্রিয় হয়। তার পরই বলিউডে অফার পান। গান গেয়েছেন জনি গদ্দার, আগলি অউর পাগলি, সিং ইজ কিং ছবিতে। আসল নাম তরণ কউর ধিঁলো।
রফতার: আসল নাম দিলিন নায়ার। ইয়ো ইয়ো হানি সিংহের ‘মাফিয়া মুন্ডের’ মিউজিক গ্রুপের সদস্য ছিলেন।
‘সোয়াগ মেরা দেশি’ গানের জন্য ২০১৪-তে বেস্ট আরবান সং অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পান। গান গেয়েছেন বুলেট রাজা, হিরোপন্তি, গব্বর ইজ ব্যাক-সহ বহু বলিউড ছবিতে গান গেয়েছেন।
বাদশাহ: আসল নাম আদিত্য প্রতীক সিংহ সিসৌদিয়া। গানের দুনিয়ায় তিনি র্যাপার বাদশাহ নামেই বেশি পরিচিত। হরিয়ানায় জন্ম বাদশাহের।
‘কুল ইক্যুয়াল’ অ্যালবামের মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু করেন। তার পরই আদিত্য প্রতীক হয়ে ওঠেন বাদশাহ। ২০১৮-তে ফোর্বস-এর ধনী ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত হন তিনি।
এমিওয়ে বানতাই: তরুণ প্রজন্মের কাছে এই র্যাপার খুবই জনপ্রিয়। তাঁর বেশ কয়েকটি র্যাপ খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। ২০১৩-তে তাঁর ‘গ্লিন্ট রক’ গান ইউটিউবে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
রণবীর সিংহ অভিনীত ‘গালি বয়’ ছবিতে ‘আসলি হিপ হপ’ গানটি তাঁরই গাওয়া। এমিওয়ে আসল নাম কিন্তু বিলাল শেখ।