সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আপ্তসহায়ক দিশার মৃত্যু তদন্তে অন্তিম রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আপ্তসহায়ক ছিলেন দিশা সালিয়ান। পাঁচ বছর আগে মৃত্যু হয় তাঁর। দিশার মৃত্যুর সপ্তাহখানেক পর মারা গিয়েছিলেন সুশান্ত। তাঁদের মৃত্যু নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। মেয়ের মৃত্যুর তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট হয়নি দিশার পরিবার। তাতে সায় দিয়েছে সুশান্তের পরিবারও। সম্প্রতি মুম্বই পুলিশের কাছে নতুন করে তদন্তের দাবি করেছেন দুই পরিবারের সদস্যেরা। প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ থেকে একাধিক বলি তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। দিশার পিতা সতীশ সালিয়ান ফের কন্যার মৃত্যুর তদন্ত শুরু করার আবেদন জানিয়েছেন। এমনকি সুশান্তের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করতে নতুন করে তদন্ত শুরু করার দাবি করেছেন সুশান্তের তুতো ভাই নীরজকুমার সিংহ বাবলুও। যদিও সিবিআই এই মামলা বন্ধের অন্তিম রিপোর্ট পেশ করল অতি সম্প্রতি। সেখানে দিশার বাবাকে নিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
২০২০ সালের ৮ জুন দিশা সালিয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। মলাডের একটি বহুতলের ১৪ তলা থেকে পড়ে দিশার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ছয় দিন পর, সুশান্তকে তাঁর বান্দ্রার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। দিশার মৃত্যু মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠনের দাবি জানিয়েছেন সতীশের আইনজীবী নীলেশ। তাঁর অভিযোগ, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহের বিরুদ্ধে। সুশান্ত এবং দিশার মৃত্যুর ঘটনায় বার বার নাম জড়িয়েছিল উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরের। সুশান্তের ম্যানেজার হিসাবে নিযুক্ত হয়ে আরও খ্যাতি পেয়েছিলেন দিশা। মুম্বইয়ের দাদরের একটি ফ্ল্যাটে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। টেলি অভিনেতা রোহন রাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন দিশা। এ বার দিশার বাবাকে নিয়ে নয়া দাবি দিশার প্রেমিকের। দাবি করা হয়েছে বাবা সতীশ নাকি দিশার টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছেন। সেই কারণেই নাকি আত্মহত্যা করেছেন তিনি। বন্ধুদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির পাশাপাশি, দিশার বাবা থানেতে তার মশলা তৈরির কারখানায় একজন মহিলা কর্মচারীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন এবং মেয়ের কষ্টার্জিত অর্থের অপব্যবহার করেছিলেন। তাঁর প্রেমিক পুলিশের বয়ানে স্বীকার করেছেন, দিশার বাবার পরকীয়ার সম্পর্ক নাকি গভীর ভাবে আঘাত দেয় দিশাকে।