‘জওয়ান’-এর মাস্ক জল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক অ্যাটলি। ছবি: সংগৃহীত।
এই মুহূর্তে দেশের বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ‘জওয়ান’। শুধু দেশেই নয়, ব্যবসার নিরিখে বিশ্ব জুড়েও রীতিমতো রাজ করছে বলিউডের বাদশার প্রথম প্যান ইন্ডিয়ান ছবি। গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে অ্যাটলি পরিচালিত শাহরুখ খানের এই ছবি। তার আগে জুলাই মাসে মুক্তি পেয়েছিল ছবির ‘প্রিভিউ’। সেখানেই ঝলক দেখা গিয়েছিল শাহরুখের একাধিক রূপের। কখনও ন্যাড়া মাথা, কখনও আবার ব্যান্ডেজ় জড়ানো রূপে ধরা দিয়েছিলেন তারকা। তবে সেই সব লুকের মধ্যে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল শাহরুখের মাস্ক পরা চেহারা। সঙ্গে কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, হলিউডের জনপ্রিয় এক ছবি থেকে নাকি ‘জওয়ান’-এ ওই লুক হুবহু টুকে দিয়েছেন পরিচালক। সত্যিই কি তাই? ‘জওয়ান’ মুক্তির সপ্তাহ দুয়েক পরে অবশেষে সেই ‘অভিযোগ’-এর উত্তর দিলেন অ্যাটলি।
‘দ্য ডার্ক নাইট রাইজ়েজ’ ছবিতে ব্রুস বেন চরিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অ্যাটলি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে ওয়াকিবহাল তিনি। অ্যাটলি বলেন, ‘‘আমি আমার ছবিতে এক জন অভিনেতার মুখ ঢাকতে চেয়েছি, যাতে পরের দিকে তাঁর লুক প্রকাশ্যে আনতে পারি। সে ক্ষেত্রে কেমন ধরনের মাস্ক আমি ব্যবহার করব? আমি এক রকমের নয়, একাধিক রকমের মাস্ক ব্যবহার করেছি। কারণ আমার ছবিটাই আদপে মাস্ক নিয়ে। ছবিতে একের পর এক ঘটনার মাধ্যমে ওই চরিত্রের পরিচয় সামনে আসে। আমার প্রোডাকশন ডিজ়াইনার তেমন ভাবেই সব মাস্ক ডিজ়াইন করেছেন। এদের মধ্যে কোনও একটা নকশা দেখে যদি কারও বেনের (ব্রুস বেন) কথা মনে পড়ে, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। এটা একটা ভাল তুলনা।’’
শুধু মাস্ক নয়, ‘জওয়ান’-এর একাধিক অ্যাকশন দৃশ্যের মৌলিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নেটাগরিকরা। তার উত্তর দিতে গিয়ে অ্যাটলি বলেন, ‘‘শাহরুখ ও দীপিকার অ্যাকশন দৃশ্য নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেছেন। আমার নিজের একটা ছবি আছে ‘মেরসল’, তাতেও কুস্তির দৃশ্য ছিল। ‘জওয়ান’-এও রয়েছে। তাতে কোনও অসুবিধা আছে বলে আমি মনে করি না, দু’টোই তো আমারই ছবি।’’ অ্যাটলির কথায়, ‘‘লোকজন বহু দিন ধরে আমার সমালোচনা করে এসেছেন। আমাকে আদালতে পর্যন্ত যেতে হয়েছে। কিন্তু আমি সততার উপর ভর করে লড়েই জিতেছি।’’ এখনও পর্যন্ত বিশ্বজোড়া বক্স অফিসে ৯৫০ কোটির বেশি টাকার ব্যবসা করেছে ‘জওয়ান’। ১০০০ কোটির মাইলফলক পেরনো যে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।