অনিকেত চট্টোপাধ্যায় এবং রুদ্রনীল ঘোষ
রবিবার রাত থেকেই কটাক্ষের শিকার পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। কী নিয়ে এত বিতর্ক? পরাজয়ের গ্লানি সরিয়ে রেখে গত কাল রাতে নেটমাধ্যমে মুখ খোলেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর সেই পোস্টের মন্তব্য বিভাগে জ্বলজ্বল করে ওঠে অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য। পরিচালক অভিনেতাকে বহুজন সমাজ পার্টির অফিসের ঠিকানা উপহার দিয়েছেন। কেন? পরিচালক সম্ভবত মনে করেছেন, বাম শিবির, শাসকদল, বিজেপি সহ রাজ্যের তিনটে দল পরিক্রমা করলেন রুদ্রনীল ঘোষ। বাকি রাজ্য ও দেশের আরও কিছু দল। এ বার যদি সে সব দলে ঢুঁ মারেন তিনি! তাই আগেভাগেই তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনিকেত। পরিচালকের মাত্র একটি খোঁচাতেই নেটমাধ্যম তপ্ত রবিবার রাত থেকে।
রবিবারের পোস্টে কী বলেছেন রুদ্রনীল?
নেটমাধ্যম অনুযায়ী তিনি জয়ী-বিজয়ী প্রার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন, ‘২১শের ভোট যুদ্ধ শেষ। জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন। যাঁরা জয়ী হলেন না, তাঁদের পরিশ্রমকে কুর্নিশ। সব রাজনৈতিক দলের ভোটার, সমর্থক ও কর্মীদের ভালবাসা জানাই। নির্বাচনে হার-জিত থাকেই। ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে আমায় হারিয়ে জয়ী হয়েছেন শ্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওঁকে অভিনন্দন’। পাশাপাশি, তিনি শাসকদলের আরও ২ নব্য বিধায়ককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁরা রুদ্রনীলের অভিনেতা, পরিচালক বন্ধু রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক। রাজ জিতেছেন ব্যারাকপুর থেকে। কাঞ্চনের জয় উত্তরপাড়ায়।
তার পরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কটাক্ষ শাসকদলকে, তাঁর আশা এ বার দল প্রথা পালটে তৃণমূল জয়ী বিধায়কদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেবে। এই নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। বাকিদের মতো রুদ্রনীলও বিষয়টি নিয়ে ততটা ভাবিত নন। তাঁর যাবতীয় দুশ্চিন্তা, নতুন সরকারে যেন ফের দুর্নীতিকেই বড় চেহারা না দিয়ে বসে। তাই আন্তরিক ভাবে তাঁর কামনা, জিতুক বাংলার সাধারণ মানুষের সত্যিকারের উন্নয়ন। জিতুক বাংলার বেকারদের চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন। জিতুক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নত পরিকাঠামো। পুলিশের শিরদাঁড়াও।
অভিনেতার এই পোস্টের পরেই অনিকেতের পোস্ট। মন্তব্য বিভাগে যথারীতি নেটাগরিকদের ব্যঙ্গের বানভাসি। কেউ বলেছেন, ‘এদের রং কিন্তু নীল। নামেও সার্থক হবে’। কারওর দাবি, ‘দাঁড়ান উনি আগে বাংলা ভ্রমণ শেষ করুন! তার পর দেশভ্রমণে বের হবেন। বাংলার আরও রাজনৈতিক দল বাকি আছে তো’।
বিষয়টি নিয়ে তির্যক মন্তব্য করতে ছাড়েননি ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁর যুক্তি, ‘‘পরাজয়ের পর মানুষ অন্তত ১ সপ্তাহ চুপ করে থাকে। রুদ্রনীল সেটাও মানতে পারলেন না!’’