রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদি নম্বর ১’। বয়স ১২ বছর অর্থাৎ এক যুগ। দীর্ঘ সময় ধরে বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে জি বাংলার এই রিয়্যালিটি শো। বিকেল পাঁচটা বাজলেই বাড়ির সব বয়সের দিদিরা বসে যান ছোট পর্দার সামনে। পর্দায় সম্প্রচারিত লড়াকু দিদিদের জিতে ফেরার গল্পের সাক্ষী থাকতে। সম্প্রতি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ একটি প্রচার ঝলকের মাধ্যমে জানিয়েছেন, শেষ হয়ে যাচ্ছে এত বছর ধরে চলতে থাকা সেই শো।
সব শুরুরই শেষ থাকে। কিন্তু এত জনপ্রিয় শো হঠাৎ কেন এ ভাবে বন্ধ হতে চলেছে? তারও উত্তর রয়েছে প্রচার ঝলকেই। রিয়্যালিটি শো-এর সিজন আট শেষ হচ্ছে। নতুন বছরে নতুন সিজন আনছেন রচনা। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চেনা সময়েই দেখা যাবে ‘দিদি’কে। প্রচার ঝলকে রচনার কথায়, তিনি নিজেকেও নতুন ভাবে উপস্থাপিত করবেন। আগের সিজনের মতোই তাঁকে ঘিরে থাকবেন হার না মানা দিদিরা। হয়তো নতুন খেলার সংযোজন হবে সিজন ৯-এ।
২০১০-এ প্রথম জি বাংলা দর্শকদের উপহার দিয়েছিল নতুন ধারার এই রিয়্যালিটি শো। প্রথম দিন থেকেই শো-এর অভিনবত্ব এবং রচনার সঞ্চালনায় জনপ্রিয় ‘দিদি নং ১’। মাঝে সাময়িক সঞ্চালিকা বদল ঘটেছিল। রচনার জুতোয় পা গলিয়েছিলেন দেবশ্রী রায়, জুন মালিয়া। দর্শকদের অনুরোধে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সরিয়ে ফের ফিরিয়ে এনেছিলেন রচনাকে। এই শো দেখে শুধুই সাধারণ নারী নন, বাংলা ছবির প্রথম সারির অভিনেত্রীও অনুপ্রাণিত হয়েছেন একাধিকবার। দিদিদের লড়াই এবং যুদ্ধ জয়ের গল্প শুনে তাঁরও মনে হয়েছে, তিনিও আগামী দিনে এ ভাবেই এগিয়ে যেতে পারবেন। সে কথা একাধিক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছেন রচনা।