বলিউড ছবিতে দুরন্ত অ্যাকশন দৃশ্য দর্শকদের যতটা মোহিত করে, অভিনেতাদের জন্য তার শ্যুটিং ততটাই ঝুঁকির। বিশেষত অনেক ক্ষেত্রেই তারকারা জেদ করে এ সব প্রাণ বাজি রাখা দৃশ্যে স্টান্টম্যান বা বডি ডাবলের বদলে নিজেরাই অভিনয় করতে চান। যার মাসুলও দিতে হয় অনেক ক্ষেত্রেই।
প্রাণ বাজি রেখেই ঝুঁকির দৃশ্যে অভিনয় করেন তারকারা!
কে না জানে ‘কুলি’ ছবির শ্যুটিংয়ে প্রাণটাই চলে যেতে পারত অমিতাভ বচ্চনের! পেটে মারাত্মক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পরে প্রায় ৫৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছিলেন খোদ বলিউডের ‘শাহেনশা’! কিন্তু জানেন কি, শ্যুটিং করতে গিয়ে প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন তাঁর পুত্রবধূ ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনও?
বলিউড ছবিতে দুরন্ত অ্যাকশন দৃশ্য দর্শকদের যতটা মোহিত করে, অভিনেতাদের জন্য তার শ্যুটিং ততটাই ঝুঁকির। বিশেষত অনেক ক্ষেত্রেই তারকারা জেদ করে এ সব দৃশ্যে স্টান্টম্যান বা বডি ডাবলের বদলে নিজেরাই অভিনয় করতে চান। যার মাসুলও দিতে হয় অনেক ক্ষেত্রেই। যেমনটা হয়েছিল ঐশ্বর্যা, সলমন খান বা হৃতিক রোশনের ক্ষেত্রেও!
তখন ‘খাকি’ ছবির শ্যুটিং করছেন ঐশ্বর্যা। একটি দৃশ্যে ছুটন্ত জিপে থাকার কথা ছিল তাঁর। সেই মতোই জিপে ওঠেনও অভিনেত্রী। কিন্তু এক সময়ে ভারসাম্য হারিয়ে সটান ছিটকে পড়েন দূরে। তড়িঘড়ি হাসপাতলে পাঠাতে হয়েছিল নায়িকাকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সুস্থ হয়েই ঘরে ফেরেন তিনি।
‘তেরে নাম’-এর শ্যুটিংয়ে প্রাণটাই খোয়াতে বসেছিলেন সলমন খান! একটি দৃশ্যে রেললাইন ধরে হাঁটার কথা ছিল তাঁর। অভিনয়ে এতটাই মগ্ন হয়ে গিয়েছিলেন ‘ভাইজান’ যে, খেয়ালই করেনি পিছনে ছুটে আসছে দ্রুত গতির ট্রেন! শেষ মুহূর্তে এক সহ-অভিনেতা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে প্রাণ বাঁচান সলমনের!
মরে যেতে পারতেন হৃতিকও! ‘কৃষ’ ছবির শ্যুটিংয়ে একটি অ্যাকশন দৃশ্যে তার বেয়ে ঝোলার সময়ে আচমকা হাত ফস্কে যায়। প্রায় ৫০ ফুট নীচে পড়ে যান ‘ডুগ্গু’। বহু দিনের চিকিৎসায় অবশেষে সুস্থ হন বলিউডের ‘গ্রীক দেবতা’। অমিতাভের মতোই!
সাধে বলে, রাখে হরি, মারে কে!