—ফাইল চিত্র।
২০ মে মুক্তি পাচ্ছে উইন্ডোজ প্রোডাকশনের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘বেলাশুরু’। অতিমারির ধাক্কায় প্রায় আড়াই বছর পরে ফের দর্শকদের নতুন ছবি উপহার দিতে চলেছেন নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ছবির মুখ্য আকর্ষণ পর্দা জুড়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের রেখে যাওয়া রোমান্স। আর এক ঝাঁক তারকা-অভিনেতা। ছবি-মুক্তির ঠিক এক সপ্তাহ আগে বোমাটা ফাটালেন শিবপ্রসাদ। আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবাসরীয় লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় তাঁর আকস্মিক স্বীকারোক্তি, ‘‘অন্য ছবির মতো ‘বেলাশুরু'তেও একটা জুয়া খেলেছি। সেটা এখন বলছি না।’’
বাংলা বিনোদন দুনিয়ার তাবড় তারকা যখন এক ছবিতে, তখন জুয়া খেলার দরকার পড়ল কেন পরিচালক-জুটির? কী জুয়াই বা খেললেন তাঁরা? ফাঁস করতে মোটেই রাজি নন আড্ডার আমন্ত্রিত অতিথিদ্বয়। তবে কথায় কথায় শিবপ্রসাদ জানিয়েছেন, এ রকম জুয়া তাঁরা তাঁদের প্রতিটি ছবিতেই খেলেছেন।
সে জুয়ার উদাহরণও দিয়েছেন পরিচালক। ‘মুক্তধারা’য় নাইজেল আকারাকে ‘নায়ক’ হিসেবে উপহার দিয়েছেন। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল সলমন খান-ক্যাটরিনা কইফের ‘এক থা টাইগার’-এর সঙ্গে। দর্শক কিন্তু মুখ ফেরাননি।
একই ভাবে ‘কণ্ঠ’ ছবি তৈরি করেছেন ক্যানসারের উপরে। সবাই বলেছিলেন, মারণ রোগ নিয়ে ছবি বানালে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে যাবেন না। কারণ, ছবিতে সবাই বিনোদন খোঁজেন। আশার আলো দেখতে চান। ‘কণ্ঠ’ জীবনের গল্প শোনাতেই সুপার হিট!
কিংবা ‘হামি’র কথাই ধরুন। সেই সময়ে স্কুলে নাবালিকা ধর্ষণ নিয়ে শহর কলকাতা উত্তাল। অভিযোগের কাঠগড়ায় বিদ্যালয়ের অশিক্ষক কর্মচারী। নন্দিতা-শিবপ্রসাদ তাঁদের ছবির মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন, স্কুল খারাপ হতে পারে না। অশিক্ষক কর্মচারীরা মনুষ্যত্বহীন নন। সবার কোথাও বুঝতে ভুল হচ্ছে। দর্শক মেনে নিয়েছিল তাঁদের বক্তব্য।