(বাঁ দিক থেকে) ধনুষ, ডান দিকে ( ঐশ্বর্যা) ছবি: সংগৃহীত।
বছর দু’য়েক আগে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন ঐশ্বর্যা রজনীকান্ত ও ধনুষ। তার পর থেকে আলাদাই ছিলেন তাঁরা। তবে সন্তানের খাতিরে যোগাযোগ ছিল দু’জনের। পুরনো সম্পর্কের পিছুটান ছাড়িয়ে এ বার ধনুষ ও ঐশ্বর্যা নিজেদের জীবনে এগোতে চাইছেন। দিন কয়েক আগেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নথিভুক্ত করেছেন তাঁরা। তবে সম্পর্ক ভাঙা মানে কোনও কাদা ছোড়াছুড়ি নয়, দুই তরফের সম্মতিতেই আালাদা হচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু দুই ছেলের দায়িত্ব পড়ল কার উপর, বাবা না কি মা?
উভয় পক্ষের সম্মতিতেই (মিউচুয়াল) বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া এগোবে। সূত্রের খবর, শীঘ্রই আদালত তাঁদের এই মামলা শুনতে পারে। তাঁদের দুই সন্তান— যাত্রা ও লিঙ্গা। তাদের দায়িত্ব নিচ্ছেন ঐশ্বর্যা। ধনুষ তাতে বাধা দেননি। দায়িত্ব ঐশ্বর্যার হলেও দুই ছেলের যাবতীয় প্রয়োজনে তিনি থাকবেন বলেই আশ্বস্ত করেছেন।
২০০৪ সালে ধুমধাম করে বিয়ে হয় দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বর্যা এবং অভিনেতা ধনুষের। ১৮ বছর বাদে সেই বিয়েতেই যবনিকা পতন। বিয়ের পর নিজের নাম বদলে ঐশ্বর্যা হয়েছিলেন ‘ঐশ্বর্যা আর ধনুষ’। বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার পর সমাজমাধ্যমে তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে হন ‘ঐশ্বর্যা রজনীকান্ত’। তাঁদের সম্পর্ক ভাঙার পিছনে একাধিক কারণ শোনা গিয়েছিল। যদিও পরে শোনা যায়, গুরুজনদের অনুরোধে ফের এক বার নাকি সুযোগ দিতে চাইছিলেন তাঁদের সম্পর্ককে। তবে এখন বিচ্ছেদের বিষয়টিই স্পষ্ট। অভিনেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, ধনুষ ও ঐশ্বর্যা, দু’জনেই জীবনে এগোতে চান। সেই কারণে আইনত ভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে তাঁদের।