দেবলীনা কুমার।
নির্বাচন চলাকালীন বাইরে যখন তৃণমূল ও বিজেপি ধুন্ধুমার, এই শহরেরই এক কোণে সেই দুই দলের প্রতিনিধি এবং সমর্থকরা তৈরি হচ্ছেন একসঙ্গে মঞ্চে ওঠার জন্য। ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর ৪ ‘গুরু’-র ৩ জন একটিই সাজঘর পেয়েছিলেন। বিজেপি সমর্থক সৌমিলি বিশ্বাস এবং রিমঝিম মিত্র, তৃণমূল সমর্থক দেবলীনা কুমার।
নাচের রিয়্যালিটি শো ‘ডান্স বাংলা ডান্স ১০’ আসতে চলেছে জি বাংলায়। ৪ গুরুর আসনে দেখা যাবে ৩ অভিনেত্রী-সহ অভিনেতা ওম সাহানিকে। নির্বাচন শুরুর আগে থেকে ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার পর পর্যন্ত শ্যুটিং চলেছে। অর্থাৎ নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যেই এক সাজঘরে প্রতিপক্ষরা।
কেমন কেটেছিল সে দিনগুলি? কী ঘটেছিল সাজঘরে?
দেবলীনা কুমার আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন, ‘‘সৌমিলিদির সঙ্গে বহু বছরের সম্পর্ক আমার। নাচের অনুষ্ঠান করেছি অনেক। রিমঝিমদির সঙ্গে প্রথম বার আলাপ। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক প্রসঙ্গ তুলিনি কেউই। কারণ, রাজনীতি ছাড়াও আমাদের কাছে অনেক গল্পের ভাণ্ডার ছিল।’’ তবে দেবলীনার বাবা নির্বাচনে জেতার পরে মেসেজ করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সৌমিলি এবং রিমঝিম।
নব নির্বাচিত বিধায়ক দেবাশিস কুমারের কন্যা অভিনেত্রী দেবলীনা তাঁর ছোটবেলার কথা তুললেন এই প্রসঙ্গে। তিনি জানালেন, ছোট থেকে তাঁদের বাড়িতে রাজনৈতিক চর্চা হয়। তাই হয়তো বিরোধী দলের মানুষের প্রতিও সম্মান রাখার কথা বহু আগেই তাঁর বাবা ও মা তাঁকে শিখিয়েছেন।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ হলেও ব্যক্তিগত স্তরে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আপত্তি নেই বলেও জানালেন দেবলীনা। একটি উদাহরণ দিয়ে সে কথার প্রমাণও দিলেন অভিনেত্রী। স্কুলে তাঁর সব থেকে ভাল বন্ধু ছিলেন সিপিএম পরিবারের। এ-দিকে দেবলীনারা বহু বছর ধরেই দিদির সমর্থক। কিন্তু সে জন্য তাঁদের বন্ধুত্বে ছেদ পড়েনি কোনও দিন। একে অপরের পরিবারের সঙ্গেও খুব খোলামেলা।
কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, ৩ নায়িকা কি জেনেশুনেই তর্ক এড়িয়ে গিয়েছেন? ৩ জনেই রাজনৈতিক বিষয়ে অত্যন্ত সরব, সে ক্ষেত্রে এত নিঃশব্দতা কেন?