মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেব। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত হয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে। এ খবর শোনা মাত্রই সমাজমাধ্যমে তাঁকে কুর্নিশ জানালেন দেব। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর বার্তা, “আগেও দেখেছি, আপনি কী ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আজ আবার দেখলাম নিজের লোকের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন।”
একই সঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। লিখেছেন, “দিদি, আপনাকে কুর্নিশ জানাই এই উদ্যোগের জন্য।” এর পরেই রাজ্যবাসীর সঙ্গে মিলেমিশে একাকার শাসকদলের সাংসদের অনুভূতি। ধর্নামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি যেমন আশার আলো দেখিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের, একই ভাবে আশাবাদী তিনিও। সে কথাও লিখেছেন দেব— “আশা করছি, শান্তি, ন্যায়, সম্মান— সব ফিরে আসুক।”
আরজি কর-কাণ্ডের প্রথম থেকে সরব সাংসদ-প্রযোজক-অভিনেতা। একেবারে শুরুতে তিনি বিদেশে ছিলেন। সেখান থেকে তাঁর প্রথম পদক্ষেপ, আগামী ছবি ‘খাদান’-এর টিজ়ারমুক্তি পিছনো। ১৪ অগস্ট প্রথম রাত দখলের ঘোষণা। সে দিন দেবের ছবির টিজ়ারমুক্তির কথা ছিল। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে তরুণী চিকিৎসকের নির্যাতন-মৃত্যু প্রত্যেককে পথে নামিয়েছিল। সেই অনুভূতি ছুঁয়ে গিয়েছিল তাঁকেও। দেশে ফিরে আর্টিস্ট ফোরামের ডাকা সমাবেশ মঞ্চে প্রথম প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন দেব। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “সকলের মতো আমিও অপরাধী বা অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি চাইছি। এমন শাস্তি, যা বাকিদের ভয় পাইয়ে দেবে। এ রকম ঘৃণ্য কাজ করার আগে অভিযুক্ত দ্বিতীয় বার ভাববে।” পাশাপাশি তিনিও শাস্তি হিসেবে ফাঁসির কথা বলেন। এ-ও জানান, মেয়েকে নয়, এখন ছেলেদের ‘গুড টাচ’, ‘ব্যাড টাচ’ শেখাতে হবে।
শুক্রবার ছিল তাঁর পুজোর ছবি ‘টেক্কা’র ট্রেলারমুক্তি। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ছবিতে দেবের সঙ্গে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, রুক্মিণী মৈত্র, সৃজা দত্ত-সহ এক ঝাঁক খ্যাতনামী অভিনেতা। অতিথি চরিত্রে দেখা যাবে টোটা রায়চৌধুরীকে। প্রচারে এসে দেব এ দিনও বলেন, “আমরা কেউ চাই না, আমাদের রাজ্যে ও দেশে কখনও আরজি করের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক। প্রত্যেক মহিলা যেন স্বাধীন ভাবে নিজের মনের মতো করে বাঁচতে পারেন, এটাই চাই।”