দেব
প্রতিপক্ষ প্রযোজকের অফিসের লিফটেই নিজের ছবির বিজ্ঞাপন লাগিয়ে দিয়েছেন। পুজো রিলিজ়ের জন্য এ ভাবেই প্রচারের অঙ্ক কষেছেন দেব। এ বারের পুজোয় এসভিএফ-এর তিনটে ছবি মুক্তি পাচ্ছে। অথচ তাঁদের অফিসের লিফটেই কিনা দেবের ‘হইচই আনলিমিটেড’-এর এতগুলো পোস্টার!
কিন্তু দেব এবং এসএভিএফ কি এই মুহূর্তে সত্যিই প্রতিপক্ষ? ইন্ডাস্ট্রির সূত্র বলছে, দু’পক্ষের মধ্যে গাঁটছড়া বাঁধার কথা চলছে। এসএভিএফ দেবের সঙ্গে ছবি করতে আগ্রহী। দেবও বিষয়টি অস্বীকার করছেন না। তবে তাঁর দাবি, ভাল চিত্রনাট্য এবং চরিত্র।
টলিউডের খবর আপনাকে নাকি ব্ল্যাঙ্ক চেক দেওয়া হয়েছে? ‘‘চেকের কথা আমি বলব না। তবে হ্যাঁ, শ্রীকান্তদা (মোহতা), মণিদার (মহেন্দ্র সোনি) সঙ্গে প্রায়ই আমার কথা হয়। ওরা এর মধ্যে বেশ কয়েকটা ছবি আমাকে অফার করেছে। কিন্তু অনেস্টলি বলছি, চিত্রনাট্য পছন্দ না হলে আমি করব না। এমন নয় যে, ভেঙ্কটেশ বা সুরিন্দর ফিল্মসের সঙ্গে ছবি করতে চাইছি না। স্ক্রিপ্ট পছন্দ হলেই করব। টাকাপয়সা নিয়ে ভেঙ্কটেশের সঙ্গে আমার সমস্যা নেই। যাঁরা ভাবছেন আমার সঙ্গে ওদের ঝগড়া, তাঁরা কিন্তু ভুল ভাবছেন।’’
কিছু দিন আগে প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার মহেন্দ্র সোনির বাড়িতে ডিনারে গিয়েছিলেন দেব। সব মিলিয়েই নতুন সমীকরণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভাল কাজ করার তাগিদেই কিন্তু ভেঙ্কটেশ ফিল্মস (এসভিএফ) থেকে বেরিয়ে এসে নিজের প্রযোজনা খুলেছেন দেব। দেড় বছরের মধ্যে ‘চ্যাম্প’, ‘ককপিট’, ‘কবীর’ তিনটি ছবি করেও ফেলেছেন। পুজোয় আসছে তাঁর ‘হইচই আনলিমিটেড’। তবে প্রযোজক দেবের সঙ্গে এসভিএফ-এর যে একেবারেই কোনও দ্বন্দ্ব নেই, এমনটাও নয়। কারণ, ‘চ্যাম্প’-এর ডিস্ট্রিবিউশন তাদের দিয়েছিলেন দেবই। অভিযোগ, সেই ডিস্ট্রিবিউশনের কাজ যথাযথ ভাবে হয়নি। তার পর থেকে দেব নিজেই ছবির ডিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্ব নেন।
দেবের সঙ্গে এসভিএফ ফের ছবি করতে উৎসাহী হওয়ার পিছনে অন্য অঙ্কও আছে। ইন্ডাস্ট্রিতে কমার্শিয়াল হিরোর অভাব। অঙ্কুশ, যশ বা বনিকে পরখ করে দেখা হলেও এ কথা সকলেই জানেন, দেব বা জিতের ছবি যতটা ব্যবসা দিতে পারে, বাকিরা তার ধারেকাছেও নয়। এই মুহূর্তে মসালা বাণিজ্যিক ছবির বাজারে এমনিতেই মন্দা চলছে। সেই পরিস্থিতিতে এসভিএফ দেবকে নিয়ে এসে হাল ফেরাতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে। জিতের সঙ্গে যা সমীকরণ, তাতে তিনি এই মুহূর্তে এসভিএফ-এর সঙ্গে ছবি করতে চাইবেন না। তিনি সুরিন্দর ফিল্মসের সঙ্গে কাজ করতে উৎসাহী। মাঝে দেবের সঙ্গেও কথাবার্তা চালিয়েছিলেন। কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি। সুতরাং এসভিএফ-এর হাতে এখন একমাত্র দেবই আছেন বলে মনে করছে ইন্ডাস্ট্রির একাংশ।