দেব ও স্বরা
বলিউডের অনেক শিল্পীই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করছেন। সোনু সুদ তো দৃষ্টান্তই স্থাপন করে ফেলেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, স্বরা ভাস্করেরাও। স্বরা শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থার পাশাপাশি তাঁদের জন্য চটি-জুতোর ব্যবস্থাও করেছেন। খালি পায়ে, কেউ প্লাস্টিক বেঁধে... শ্রমিকদের হাঁটার ছবি সংবাদমাধ্যমে দেখার পরেই স্বরা ঠিক করেন, শ্রমিকদের জন্য চটির বন্দোবস্ত করতে হবে। একটি চটি প্রস্তুতকারক সংস্থা স্পনসরও করে তাঁকে।
এ বার টলিউড থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন অভিনেতা-সাংসদ দেব। নেপালে আটকে ছিলেন এ রাজ্যের ৩৬ জন শ্রমিক। দেব তাঁদের ফেরত নিয়ে আসেন। শ্রমিকেরা সকলেই দেবের বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা। করোনার কারণে ওই শ্রমিকেরা নেপাল থেকে এ দেশে আসতে চাইছিলেন। তাঁরা বর্ডার এলাকায় আটকে পড়েন। তাঁরা জানতেন না, অনেক দিন আগেই বর্ডার আটকে দেওয়া হয়েছিল। তত দিনে শ্রমিকদের হাতে টাকা নেই, পেটে খাবারও নেই। দেব সে খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন। সাংসদ আপাতত ব্যস্ত আরও এক হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার আয়োজন করতে। জম্মুতে আটকে থাকা এ রাজ্যের ৫০জন শ্রমিককে বাড়ি ফেরানোর দায়িত্বও নিয়েছেন দেব।
ইতিমধ্যে দেশজুড়ে চলা অন্য একটি হ্যাশট্যাগ আন্দোলন নিয়ে দেবের করা একটি পোস্ট আলোড়ন তুলেছে। দেবের পোস্ট, ‘‘অনেক ভারতীয় তারকাকেই দেখছি #ব্ল্যাকলাইভসম্যাটার নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। কেরলের হাতির মৃত্যু নিয়েও সরব হয়েছেন অনেকে। তাঁদের মতকে আমি সমর্থন করি। ঘটনা দু’টি সত্যিই দুঃখজনক। কিন্তু আমার প্রশ্ন সারা দেশের পরিযায়ী শ্রমিকেরা যে নিজেদের বাড়ি ফিরতে পারছেন না, তা নিয়ে কোনও হ্যাশট্যাগ দেখছি না! ওই মানুষগুলো খেতে পাচ্ছেন না। জুতো নেই, পায়ে প্লাস্টিকের বোতল বেঁধে মাইলের পর মাইল হাঁটছেন... এগুলো নিয়ে কোনও আন্দোলন নেই কেন? চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম, এটা কি আমাদের মনে আছে?’’সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবের এই পোস্ট ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। টলিউডের অনেকেও দেবের পাশে দাঁড়িয়েছেন এ বিষয়ে।