বিয়ের পর মাত্র দু’টি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন এবং রণবীর সিংহ। দেশে ফেরার পর এই প্রথম বিয়ের গোটা অ্যালবাম শেয়ার করলেন নবদম্পতি।
কোঙ্কনি এবং সিন্ধি রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয়েছে এই জুটির। সূত্রের খবর, সিন্ধি রীতিতে বিয়ের সময় বাবা প্রকাশ পাড়ুকোনকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন দীপিকা। বাবা-মেয়েকে সামলাতে নাকি এগিয়ে গিয়েছিলেন রণবীর।
বিয়ের অনুষ্ঠান একান্ত ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছেন দীপিকা-রণবীর। অতিথিদের মোবাইল ফোন এবং ক্যামেরায় নাকি স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার ফাঁক গলে তবুও কিছু ছবি ফাঁস হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, নিজেদের বিয়ের নাকি বিমা করিয়েছেন দীপিকা-রণবীর। এ ঘটনা বলি মহলে অভিনব বলেই মনে করছেন অনেকে।
রণবীর-দীপিকা রং মিলিয়ে সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের ডিজাইন করা পোশাকে সেজেছিলেন। দীপিকা লাল ওড়নায় সোনা দিয়ে খোদাই করা ছিল ‘সদা সৌভাগ্যবতী ভব’। সিন্ধ্রি প্রথায় বিয়ের জন্য এই ওড়না শ্বশুরবাড়ি থেকে উপহার পেয়েছেন দীপিকা।
বিয়েতে দীপিকার হাতে অনেকগুলি আংটি দেখা গিয়েছে। অনামিকায় ছিল এনগেজমেন্ট রিং। হিরে এবং প্ল্যাটিনামের মিশেলে তৈরি ওই আংটি দীপিকাকে উপহার দিয়েছেন রণবীর। বলি মহলের মতে, এই আংটির আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকা।
সূত্রের খবর, নিরাপত্তা খাতে এক কোটি টাকা ব্যয় করেছেন এই জুটি। গোটা সপ্তাহ জুড়ে রয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা। আর এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থাকেই।
কোঙ্কনি প্রথায় ফুলমুদ্দি দিয়ে শুরু হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। ফুলমুদ্দি ঠিক কী? ঐতিহ্যবাহী কোঙ্কনি প্রথায় এই অনুষ্ঠানে পাত্রীর বাবা পাত্রের বাবা-মাকে আমন্ত্রণ জানান।
ইতালিতেই দীপিকা এবং রণবীরের সঙ্গীত এবং মেহেন্দির অনুষ্ঠানও হয়েছে। সেখানে বলিউডি গানের তালে নেচেছেন নায়িকা।
বিয়েতে হাজির ছিলেন ঘনিষ্ঠ ৩০ জন অতিথি। বাকি বন্ধু ও আত্মীয়দের জন্য দু’ভাগে রিসেপশনের আয়োজন করেছেন দম্পতি।
২১ নভেম্বর বেঙ্গালুরুতে হবে ঘরোয়া রিসেপশন। তার জন্য ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা।
আগামী ২৮ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর মুম্বইতে হবে গ্র্যান্ড রিসেপশন।