বার বার কেঁদে ফেলে এনসিবি অফিসারদের ধমক খান দীপিকা!

শনিবার এনসিবি অফিসে একাই ঢুকতে দেখা গিয়েছিল বলিউডের প্রথম সারির ওই অভিনেত্রীকে। জেরার মাঝে কিছু সময়ের জন্য ম্যানেজার করিশ্মার মুখোমুখি বসানো হয়েছিল দীপিকাকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:১৪
Share:

দীপিকা পাড়ুকোন।

থমথমে বলিউডে কাঁপুনি ধরানো দিন ছিল শনিবার। দীপিকা পাড়ুকোনকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ। সারা এবং শ্রদ্ধাকে জেরা প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে। অন্যদিকে ‘কর্ণঘনিষ্ঠ’ ক্ষিতিজ রবি প্রসাদ মাদককাণ্ডে গ্রেফতার— সব মিলিয়ে গোটা শনিবার জুড়েই উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) সূত্রে খবর, জেরা চলাকালীন তিন বার কান্নায় ভেঙে পড়েন দীপিকা। এর জন্য ধমকও খান এনসিবি কর্তাদের কাছে।

Advertisement

শনিবার এনসিবি অফিসে একাই ঢুকতে দেখা গিয়েছিল বলিউডের প্রথম সারির ওই অভিনেত্রীকে। জেরার মাঝে কিছু সময়ের জন্য ম্যানেজার করিশ্মার মুখোমুখি বসানো হয়েছিল দীপিকাকে। আর তখনই মাদক চ্যাট নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি দীপিকা, এনসিবি সূত্রে জানা যাচ্ছে তেমনটাই। পাঁচ সদস্যের একটি টিম জেরা করছিল দীপিকাকে। তদন্তকারী দলটিতে ছিলেন মহিলা আধিকারিকও। বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, এনসিবি’র তরফে দীপিকাকে কড়া ভাষায় ‘ইমোশনাল কার্ড’ ‘খেলতে’ বারণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি।

গত শুক্রবার খবর পাওয়া গিয়েছিল, জেরার সময় দীপিকার পাশে থাকতে চেয়ে এনসিবি’র কাছে আবেদন করেছেন রণবীর সিংহ। কারণ হিসেবে রণবীর নাকি জানিয়েছিলেন— মাঝেমধ্যেই প্যানিক অ্যাটাক হয় তাঁর স্ত্রী দীপিকার। যদিও এনসিবির তরফে জানান হয়েছিল, রণবীরের কোনও লিখিত আবেদন তাঁরা পাননি। শনিবার রণবীরকে দেখাও যায়নি দীপিকার সঙ্গে।

Advertisement

আরও পড়ুন- সুশান্তকে নিয়ে ছবিতে এনসিবি অফিসার শ্রদ্ধার বাবা শক্তি কপূর, ‘সুশান্ত’ কে?

গত কাল জেরায় দীপিকা স্বীকার করে নেন, ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশের সঙ্গে ফাঁস হওয়া তাঁর সেই বিতর্কিত মাদক সংক্রান্ত চ্যাট সত্যি। তবে একই সঙ্গে দাবি করেন, মাদক নিয়ে আলোচনা করলেও, তিনি নিজে কোনও দিন মাদক নেননি। হোয়াটসঅ্যাপে ‘মাল হ্যায় ক্যা’ বলে তিনি যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন করিশ্মাকে, সেটাও মাদক নিয়ে নয় বলে দীপিকার দাবি। করিশ্মাও কাল বলেন, দীপিকা স্বাস্থ্যসচেতন, তিনি মাদক সেবন করেন না। কোনও কোনও সূত্রের দাবি, দীপিকা কিছু ক্ষেত্রে জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন বা শেখানো কথা বলছেন বলে মনে হয়েছে এনসিবি-র। প্রয়োজনে তাঁকে ফের ডাকা হতে পারে। ইতিমধ্যেই দীপিকার ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি। বাজেয়াপ্ত করা হয় সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কপূরের ফোনও। এই দু’জনকেও শনিবার মাদককাণ্ডে জেরা করেছে এনসিবি।

আর এক বলি প্রযোজক তথা অভিনেতা ক্ষিতিজকে শুক্রবার থেকে টানা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় গতকাল। আজ তাঁকে ৬ দিন এনসিবি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এনসিবির ধারণা, ক্ষিতিজের কাছ থেকে পাওয়া যেতে পারে মাদক কাণ্ডে জড়িত আরও বলিস্টারের নাম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement