ব্যাডমিন্টন কোর্টে দীপিকার ক্ষিপ্র গতি দেখে অনেকেরই মনে হয়েছে এ মেয়ে খেলোয়াড় হলেই ভাল হতো। দীপিকা সে দিকে না গেলেও হৃদয় দেওয়া-নেওয়ার খেলায় ভারী চোস্ত। স্পোর্টসম্যানদের তাঁর দিব্যি পছন্দ। দীপিকার প্রেমিক-তালিকা এর জলজ্যান্ত প্রমাণ।
বাবা প্রকাশ পাড়ুকোন নামী ব্যাডমিন্টন তারকা। মেয়েও প্রথমে সেই রাস্তায় হাঁটছিলেন। কিন্তু মডেলিং, তার পর অভিনয় তাঁকে ময়দান থেকে দূরে সরিয়ে দিলেও খেলার জগতের মানুষদের নিয়ে দীপিকার ‘আগ্রহ’ কমেনি। কেরিয়ারের শুরুর দিকে নীহার পাণ্ড্যর সঙ্গে অ্যাফেয়ার ছিল দীপিকার। মাঝে উপেন পটেল আর মুজাম্মিল ইব্রাহিমের সঙ্গে ছোট্ট ইনিংস খেলেছিলেন। তার পর তো যুবরাজ সিংহ থেকে শুরু করে আরও অনেকে...
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি
খুচখাচ প্রেমিককে হটিয়ে দীপিকা মজেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে। ২০০৭-এর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখতে ধোনি আমন্ত্রণ জানান দীপিকাকে। নায়িকার অনুরোধেই নাকি ধোনি তাঁর বিখ্যাত লম্বা চুল কেটে ফেলেন! তবে প্রেম বেশি দিন টেকেনি। তার কারণ দু’জনের মধ্যে যুবরাজ সিংহের অনুপ্রবেশ। তখন আবার যুবরাজ আর ধোনির মধ্যে একটা চাপানউতোর চলছে। ধোনিকে তাঁর বায়োপিক রিলিজের সময় প্রশ্ন করা হয় বলিউড ক্রাশ নিয়ে। তিনি নির্দ্বিধায় দীপিকার নাম বলেছিলেন। এখনও কি তা হলে...
যুবরাজ সিংহ
দীপিকা ‘ওম শান্তি ওম’ করছেন। আর এ দিকে যুবরাজের উজ্জ্বল কেরিয়ার। মহিলামহলে যুবরাজ বরাবরই জনপ্রিয়। দীপিকাও মজে ছিলেন। যুবরাজ খেলতে নামলে গ্যালারিতে দীপিকাকে দেখা যেতই। সেই সময় অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও যুবরাজের সফরসঙ্গী হয়েছিলেন দীপিকা। তাঁদের দু’জনের বিয়ের কথাও উঠেছিল। কিন্তু বলিউডে সদ্য কেরিয়ার জমে উঠতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে দীপিকা যে বিয়ে করবেন না, সেটা স্বাভাবিক ছিল। বলা হয়, যুবির পজেসিভনেসের জন্যই নাকি দু’জনের বিচ্ছেদ। তত দিনে অবশ্য দীপিকা পেয়ে গিয়েছেন রণবীর কপূরকে।
সিদ্ধার্থ মাল্য
অনেক আগে থেকেই সিদ্ধার্থের সঙ্গে দীপিকার পরিচয় ছিল। কারণ, নায়িকা কিংগফিশার ক্যালেন্ডারের মডেল ছিলেন। রণবীর কপূরের সঙ্গে বছর দুয়েকের প্রেম কেটে যাওয়ার পরই সিদ্ধার্থের সঙ্গে সম্পর্ক। ওই সময়টা দীপিকা মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। সিদ্ধার্থ তখন তাঁর পাশে ছিলেন। এটা ২০১১ সালের ঘটনা। ওই সময় আইপিএল-এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের সব ম্যাচেই দীপিকাকে মাঠে দেখা যেত। ডিনার ডেট থেকে ক্রিকেট ম্যাচ— সর্বত্রই দীপিকা-সিদ্ধার্থ। তবে এই ম্যাচটাও দীপিকা মাঝপথেই ছেড়ে দিয়েছিলেন।
নোভাক জকোভিচ
এঁদের প্রেমের খবর খুব একটা শোনা যায়নি। তবে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন জকোভিচের প্রাক্তন প্রেমিকা নাতাশা। প্রকাশ করলেন দীপিকা আর জকোভিচের ডেটের কথা। ‘‘দীপিকাকে ডেট করতেই জকোভিচ ভালবাসে,’’ একটি সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন জকোভিচের প্রাক্তনী। দীপিকা-জকোভিচকে যে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি, তা নয়। গত বছর লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি রেস্তোরাঁয় তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তখন থেকেই জল্পনার শুরু। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড খবর পর্যন্ত করে। তার আগে ২০১৫ সালে জকোভিচ আর ফেডেরারের উইম্বলডন ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন দীপিকা। তাঁদের প্রথম আলাপ ২০১৪ সালে, জকোভিচ যখন ভারতে খেলতে আসেন। দীপিকা তাঁর সঙ্গে একটি ম্যাচও খেলেন। হৃদয়ের খেলাও বোধহয় তখনই শুরু হয়। এমনিতেও জকোভিচের ক্যাসানোভা ইমেজ আছে। স্ত্রী জেলেনার সঙ্গে সাম্প্রতিক সম্পর্ক ভাল নয়। মহিলা সংসর্গ তাঁর খেলারও ক্ষতি করছে বলা হচ্ছে। জন ম্যাকেনরো যেমন এই টেনিস তারকাকে টাইগার উডসের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
দীপিকা যত অ্যাফেয়ার করেছেন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তিনিই সম্পর্ক ছেদ করেছেন। ব্যতিক্রম রণবীর কপূর। তবে দীপিকার অ্যাফেয়ারের ঘটনাক্রমই স্পষ্ট করে দিচ্ছে, প্রেমের ময়দানে সত্যিই তিনি বড় খেলোয়াড়!