‘ইয়ে’ এবার পরদায়

দিন কতক আগে মাথায় টোকা পরে বাগবাজার, কাশী মিত্তির শ্মশানঘাট, গঙ্গার ধারের আশেপাশে কী সব যেন খুঁজে বেড়ালেন দেবশঙ্কর হালদার!

Advertisement

দেবশঙ্কর মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭ ০০:৫৪
Share:

ছবির একটি দৃশ্যে দেবশঙ্কর

দিন কতক আগে মাথায় টোকা পরে বাগবাজার, কাশী মিত্তির শ্মশানঘাট, গঙ্গার ধারের আশেপাশে কী সব যেন খুঁজে বেড়ালেন দেবশঙ্কর হালদার!

Advertisement

আজ আবার তিনি গিয়েছেন কাটোয়ার কাছে সালার নামে একটি গ্রামে। ওখানে যাত্রাপালার লোকজনদের নিয়ে আসরে বসবেন! আর তাঁর এই কাজকম্ম ক্যামেরায় ধরে রাখছেন দেবেশ চট্টোপাধ্যায়।

নতুন ছবি ‘ইয়ে: The Explorer’ করতে নেমেছেন দেবেশ। ২০০৫-এ তাঁরই নাট্যদল সংসৃতির ‘ইয়ে’ নাটকটির চিত্ররূপ এই ছবি।

Advertisement

নাটকটি লিখেছিলেন নান্দীকার-এর নাট্যকর্মী কৌশিক রায়চৌধুরী। প্রয়াত কৌশিককে ছবিটি উৎসর্গ করছেন পরিচালক। সুইৎজারল্যান্ডের গল্পকার পিটার বিকসেলের দুটি গল্প থেকে নাটকের ভাবনাটি পেয়েছিলেন কৌশিক। বিকসেলের গল্পের মূল টেক্সট থেকে যাকে ইংরেজি অনুবাদ করেন মাইকেল কাটনার। পরে তাকেই বাংলায় ধরেন মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। গল্পগুলিকে মানবেন্দ্র বলেছিলেন, ঈশপের গল্পের উত্তরসূরি। এ গল্প যেন বলে, আমরা কী স্বপ্ন দেখি, আর কোন স্বপ্ন দেখার সাহস রাখি না। কৌশিকের মোনোলগধর্মী নাটক ‘ইয়ে’-ও তাকে অনুসরণ করেছে। অভিনয় করতেন একা দেবশঙ্কর। দেবেশের চিত্রনাট্যে অবশ্য অনেক চরিত্র। দেবশঙ্কর ছাড়াও আছেন অর্পিতা ঘোষ, নিত্য গঙ্গোপাধ্যায় ও অসংখ্য থিয়েটারকর্মী।

সমাজ যাকে দাগিয়ে দেয়, তাই-ই কি ধ্রুব সত্যি? তার বিরুদ্ধাচারণ মানেই কি সমাজ বিরোধিতা? চাঁদকে ‘চাঁদ’ না বলে অন্য নামে ডাকতে বাধাটা কোথায়? কারও জানতে চাওয়ার ভাবনাগুলো যদি আশপাশের চেয়ে আলাদা হয়, তা হলেই কি সে নজরদারির আওতায় পড়বে? দেবেশের সিনেমা-ভাষ্য এই প্রশ্নগুলিই তুলবে। প্রতিষ্ঠিত চিন্তা যেখানে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। ভাষা, তথ্য, ক্ষমতার পরিধি নিয়ে যেখানে ধাক্কাধাক্কি চলে। শুকিয়ে যাওয়া চিন্তার মুখগুলো যেখানে অঙ্কুরিত হয়। বিনির্মিত হয় নয়া গদ্য। আবিষ্কারের পথ খোঁজা চলে নতুন ভূখণ্ডের।

কমার্শিয়াল রিলিজ নয়, এ ছবি প্রাথমিকভাবে তৈরি হচ্ছে চলচ্চিত্র উৎসবের কথা মাথায় রেখেই। পরে এটি ইন্টারনেটে মুক্তি পাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement