শাহরুখ-ডাব্বু। ছবি: সংগৃহীত।
দু’দশকের বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিকে কাছ থেকে দেখছেন তিনি। দেখাচ্ছেনও তুলে ধরে, ক্যামেরায়। তারকা আলোকচিত্রী ডাব্বু রত্নানি তিনি। তাঁরই ক্যামেরায় ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান থেকে শুরু করে হৃতিক রোশন। বলিউডের সব তারকার ভরসাস্থল তিনি।
অভিনেতা শাহরুখ খানের সঙ্গে প্রথম দেখার কথা ভুলতে পারেননি ডাব্বু। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে এসেছিলেন ‘বাদশা’। তখন থেকেই শাহরুখকে চেনেন ডাব্বু। দু’জনেরই ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু মারফত তাঁদের আলাপ। তখনও ছবিতে অভিষেক হয়নি শাহরুখের। ডাব্বু বলেন, “মনে আছে, আমার গাড়ির বনেটের উপর বসিয়ে ওর ছবি তুলেছিলাম। একটা আউটডোর শুটিং ছিল। যখন ওর সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তখন থেকেই জানতাম, ও বিরাট তারকা হবে। ওর বুদ্ধিমত্তা আমার চোখে পড়েছিল।”
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেন ডাব্বু। তিনি বলেন, “শাহরুখের বাড়িতে গিয়েছিলাম। স্যুট-টাই পরিয়েছিলাম ওকে। ও বলেছিল, ‘কী করতে চাইছ সেটা তো বলো।’ আমি বলেছিলাম ওকে চমকে দেব। ওখানে ওর মেকআপ এবং কেশসজ্জা করি। ওর মালির বাইসাইকেলটা চেয়ে নিয়েছিলাম।” সেই সাইকেলে বসিয়ে বিশেষ সাজে শাহরুখের ছবি তুলেছিলেন ডাব্বু।
মুম্বইয়ের বাইরেও তাঁরা শুটিং করেছিলেন। ডাব্বুকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করেছিলেন শাহরুখ। ডাব্বু এক বার শাহরুখকে বলেছিলেন কোমরসমান জলে নেমে হাঁটতে। বিনা প্রশ্নে জলে নেমে গিয়েছিলেন শাহরুখ।
সম্প্রতি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ৩১ বছর পার করেছেন ‘বাদশা’। অমিতাভের মতো তারকাকে জ্যাকেট পরিয়ে অটোরিকশায় চড়িয়ে ছবি তুলেছিলেন ডাব্বু। উপভোগ করেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। ডাব্বু গর্ব করে বলেন, “অক্ষয়কুমারকেও মেট্রো রেলের উপর চড়িয়ে ছবি তুলেছি। আস্তাবলে দাঁড় করিয়েও তুলেছি। আর এক বার একটা গাড়ির নীচ থেকে এমন ভাবে অক্ষয়কে ক্যামেরবন্দি করেছিলাম যেন সুপারম্যান বেরিয়ে আসছে! অবশ্যই, অক্ষয় যত পাগলামি করতে পারবে ওকে তত মানাবে। আর এ সব ও ভাল পারেও।”