Mulayam Singh Yadav

মুলায়মও দিনের শেষে ছাতু খেতেন! জীবনীছবি মুক্তির আগে জানালেন সৃজনশীল পরিচালক সৌভিক

রাজনীতিতে প্রচণ্ড দাপুটে। কিন্তু, এমনিতে ভীষণ শান্ত, ঠান্ডা মাথার মানুষ মুলায়ম সিংহ যাদব। নিজের জীবনীচিত্র দেখে গিয়েছিলেন। তারিফও করেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ ২১:০২
Share:

পর্দায় ফিরছেন প্রয়াত মুলায়ম সিংহ যাদব। ছবি: সংগৃহীত।

সাল ২০২০। পরিচালক শুভেন্দু রাজ ঘোষ কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন, রাজনীতিক মুলায়ম সিংহ যাদবকে নিয়ে ছবি বানাতে। উত্তরপ্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এক শিক্ষকের জীবনের লড়াই উঠে আসবে ছবিতে। ভাবনা যতটা সহজ, কাজ ততটাই কঠিন। শুভেন্দু তাই তাঁর কাজের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছিলেন বাংলার পরিচালক সৌভিক দে-কে। এই ছবি দিয়েই তাঁর বলিউডে সৃজনশীল পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু। শনিবার ফের প্রকাশ্যে ছবির পোস্টার। ছবিমুক্তি ৫ জুলাই। তার আগে নিজের অভিজ্ঞতা আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সৌভিক।

Advertisement

২০২০-র ছবি ২০২৪-এ কেন? ২০২২-এ তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী এবং এক সময়ের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যে চিরবিদায় নিলেন! সৌভিকের কথায়, ‘‘করোনার কারণে এতটা দেরি হয়ে গেল। তবে যাঁকে নিয়ে ছবি, তিনি দেখে গিয়েছেন। ছবি মুক্তি পেতে দেরি হবে বলে ওঁকে বিশেষ ভাবে দেখানো হয়েছিল। মুলায়ম সিংহ যাদব দেখতে এসেছিলেন। ছবির প্রশংসাও করেছিলেন।’’

সৌভিক রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি নন। মুলায়ম সিংহ যাদব সম্বন্ধে খুব বেশি জানতেনও না। কাজের কারণে তাই তাঁকে প্রয়াত রাজনীতিবিদের বাড়িতে যেতে হয়েছিল। কেমন দেখলেন ছয় দশক ধরে সফল এক রাজনীতিবিদকে? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল তাঁর কাছে। সৌভিক বললেন, ‘‘কাজের কারণে দু’বার দেখেছিলাম ওঁকে। প্রথম বার ছবি তৈরির সময়। বাড়িতে গিয়ে দেখি, এক বাটি ফল খাচ্ছেন। দ্বিতীয় বার, বিশেষ প্রদর্শনের সময়। দু’বারই খুব সহযোগিতা করেছিলেন।’’ তাঁর দাবি, রাজনীতির ময়দানে যতটা দাপুটে, বাস্তবে ততটাই ঠান্ডা মাথার মানুষ। বাড়িতে একদম সাদামাটা ভাবে থাকতেন। সৌভিকের কথায়, ‘‘তিন বারের মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছি, দিনের শেষে বাকিদের মতো ছাতু খাচ্ছেন! শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন। বোধ হয় তাই বরাবর তাঁর পা মাটির উপরেই থাকত।’’

Advertisement

এটা বাস্তবের মুলায়ম সিংহ যাদবের কথা। পর্দায় প্রয়াত রাজনীতিবিদকে ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে কী কী করেছিলেন মুখ্য চরিত্রাভিনেতা?

পর্দার মুলায়ম অমিত শেঠি। ছবি: সংগৃহীত।

কার্যনির্বাহী পরিচালক জানিয়েছেন, মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অমিত শেঠি। ছবির স্বার্থে অনেক বার তিনি নিজেকে ভেঙেছেন। চরিত্রের খাতিরে প্রথমে ছিপছিপে ছিলেন। পরে ভারী হয়েছেন। বাস্তবে প্রয়াত রাজনীতিবিদ কুস্তি জানতেন। তাঁর পাঁজরের একটি হাড় ভেঙে গিয়েছিল। সে সব অমিতের শরীরে প্রস্থেটিক রূপটানের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। ছবিতে অমিত ছাড়াও রয়েছেন, জ়ারিনা ওয়াহব, মুকেশ তিওয়ারি, সায়াজি শিন্ডে, অনুপম শ্যামের মতো অভিনেতারা। লখনউ, পুণে, দিল্লি, কলকাতা মিলিয়ে ছবির শুটিং হয়েছে। সৌভিক আরও জানিয়েছেন, এক শিক্ষকের জীবনের লড়াই, রাজনীতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার গল্প এই ছবিতে থাকছে। ছবি বাণিজ্যিক ভাবে সফল হলে সিক্যুয়েল বানাবেন। সেখানে মুলায়মের নিজের রাজনৈতিক দল তৈরি, ছেলে অখিলেশ যাদবের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা দেখানোর কথা ভাববেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement