সেই গানের একটি দৃশ্য।
লকডাউনের সময় বলিউডের জনপ্রিয় র্যাপার বাদশার গাওয়া ‘বড় লোকের বেটি লো’ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। তাঁর উপর সরাসরি অভিযোগ তিনি রতন কাহারের ‘বড় লোকের বেটি লো’ গানটি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কয়েকদিন চুপ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললেন বাদশা। তিনি বলেছেন, এই গান রতন কাহারের তিনি জানতেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বক্তব্য ছিল এই রকম, “আমি ওই গান রচয়িতার নাম খোঁজার চেষ্টা করেছি কিন্তু খুঁজে পাইনি। ২৬ মার্চ আমি জেনেছি, রতন কাহারের নাম। আমি জানি উনি একজন মহান শিল্পী। শুনেছি ওঁর অর্থনৈতিক অবস্থাও ভাল নয়। আমি ওঁকে সম্মান দিয়ে সাহায্য করতে চাই।’’
বাদশা আলাদা করে ধন্যবাদ দিয়েছেন বাঙালি দর্শকদের যারা তাঁর এই গান পছন্দ করেছেন। তিনি বলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে বহু লোক তিরস্কার করেছেন ‘চোর’ বলে। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন শিল্পী হিসেবে তিনি অন্য শিল্পীকে সম্মান করতেই শিখেছেন। ‘বড় লোকের বেটি লো’-এর ক্ষেত্রেও তাঁর কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘লকডাউন না থাকলে আমি আজই রতন কাহারের বাড়ি চলে যেতাম।’’ বাদশা জানান, এই পরিস্থিতিতেও রতন কাহারকে যে কোনও রকম সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত।
নিজের হিন্দি গানের পাঞ্চলাইনে বাংলার লোকশিল্পী রতন কাহারের লেখা ‘বড়লোকের বিটি লো’ গানটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই নেটাগরিকদের রোষের মুখে বাদশা। ১৯৭২ সালে রতন কাহার গানটি লিখেছিলেন। তার পরে ১৯৭৬ সালে অশোক রেকর্ড কোম্পানির উদ্যোগে স্বপ্না চক্রবর্তী গানটি রেকর্ড হয়। এক কুমারী মায়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল রতনের, তাঁর কাছ থেকেই এই গান লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী কালে পাহাড়ি সান্যালের উদ্যোগে আকাশবাণীতেও গান করেছেন সেই বিস্মৃতপ্রায় শিল্পী।
আরও পড়ুন: বাদশার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ
আরও পড়ুন: নিজামউদ্দিনের জামাত ঘিরে চিন্তা গোটা দেশে