Coronavirus

নেপথ্য শিল্পীদের পাশে সংগঠন

মাচা, স্টেজ শোয়ের সঙ্গে যুক্ত অগণিত দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে কাজ করা শিল্পীদের পাশে টলিউডকলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠান মঞ্চের নেপথ্যে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিএসপিজি।

Advertisement

 ঈপ্সিতা বসু

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ০০:১৯
Share:

ইন্দ্রাণী-মানালি

মঞ্চে তারকাদের পারফরম্যান্স বাহবা পায়। নেপথ্যে থেকে যান সেই মানুষেরা, যাঁদের সাহায্য ও পরিশ্রম ছাড়া তারকাদের শিল্পীকীর্তি দর্শকের কাছে পৌঁছতে পারত না। লকডাউনের জেরে সেই সব সঞ্চালক, ব্যাকআপ ডান্সার, লাইটম্যান, যন্ত্রানুষঙ্গে থাকা মানুষদের অবস্থা সঙ্গীন হয়ে উঠেছে। এঁদের মধ্যে অনেকেই দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে কাজ করেন। জলসা, মাচা না থাকলে এঁদের রোজগারও বন্ধ। সেই মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই।

Advertisement

কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠান মঞ্চের নেপথ্যে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিএসপিজি (বেঙ্গল স্টেজ পারফর্মার গিল্ড)। সংগঠনের সভাপতি ইন্দ্রাণী হালদারের মতে, ‘‘মুক্তমঞ্চের সময়কাল মোটামুটি সেপ্টেম্বর থেকে বর্ষার আগে পর্যন্ত। লকডাউন উঠলেও অনুষ্ঠানের ছাড়পত্র কবে মিলবে, জানি না। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় কয়েক হাজার শিল্পীর জন্য বিএসপিজি একটি ফান্ড তৈরি করেছে।’’ এই ফান্ডে ইতিমধ্যেই লাখ দুয়েক টাকা জমা পড়েছে। তবে সেই টাকা এখনই খরচ করা হচ্ছে না। বিষয়টি স্পষ্ট করে বললেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মানালি দে, ‘‘সংগঠনের সদস্যদের থেকে ১০০ জনকে বেছে নিয়ে তাঁদের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনুদানের টাকা ভবিষ্যতের জন্য রাখা হয়েছে। কত জনের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন, তার তালিকা তৈরি করে এই অনুদান দেওয়া হবে।’’

এই কাজে এগিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা সরকারও। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের জীবিকার একটা বড় অংশ আসে অনুষ্ঠান থেকে। মঞ্চের সামনে বা পিছনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরাও পরিবারের মতোই। তাই আমার সামর্থ্য মতো তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছি।’’ আর্থিক সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়রাও।

Advertisement

এই জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে ভীষণ ভাবে জড়িত রিয়্যালিটি শোয়ের শিল্পীরা। জলসা, মাচা থেকেই মূলত তাঁরা উপার্জন করে থাকেন। নেপথ্য শিল্পীদের উদ্দেশে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ‘সা রে গা মা’য় অংশগ্রহণকারী ১৬জন শিল্পী। তাঁদের পক্ষ থেকে স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক বললেন, ‘‘রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে নিজের চেষ্টায় প্রচার চালিয়েছি টাকা তোলার জন্য।’’ তাঁর পাশে রয়েছেন অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, গৌরব সরকার, অভ্রতনু ঘোষ, রাহুল দত্ত-সহ ‘সা রে গা মা’র অনেক শিল্পীই। এর পাশাপাশি সরকারের কাছেও তাঁরা সাহায্যের আবেদন করবেন বলে জানালেন ইন্দ্রাণী।

আরও পড়ুন: গার্হস্থ হিংসায় লকডাউনের আর্জি সেলেবদের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement