দীপঙ্কর দে এবং দোলন রায়।
চিন্তায় রয়েছেন দোলন রায়, তাঁর টিটো কে নিয়ে। টিটো অর্থাৎ দীপঙ্কর দে’র ফুসফুসে জল জমার সমস্যা রয়েছে দীর্ঘদিনের। হার্টের রোগী, ক্যানসার এবং ডায়বেটিক পেশেন্ট এবং যাঁদের ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে তাঁদের রিস্ক ফ্যাক্টর যে হাজার গুণ বেশি সে কথা ভেবেই ঘুম ছুটেছে তাঁর। বহুদিন আগে থেকেই বাড়ির দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করা মানুষদের ছুটি দিয়েছেন। একা হাতেই সামলাচ্ছেন গৃহস্থালি।
আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলছিলেন, “ঘর মোছা থেকে বাসন মাজা সবটাই করতে হচ্ছে নিজেকেই। কী করব বলুন প্রতিনিয়ত মাথায় আসছে যে করেই হোক ওঁকে সুস্থ রাখতে হবে।”
রান্না বান্না করার অভ্যেস তাঁর অনেকদিন আগে থেকেই। কিন্তু ফিনাইল দিয়ে ঘরের প্রতিটা কোণ যত্ন করে মোছা থেকে শুরু করে জীবাণুনাশক দিয়ে জামা কাপড় কাচা... “এই লকডাউন পিরিয়ড কেটে গেলে দেখব আমার ওজন ৩/৪ কেজি কমে গিয়েছে”, হাসতে হাসতে বলছিলেন দোলন।
আরও পড়ুন- ‘হাততালি’ নিয়ে পরোক্ষে মোদীকে কটাক্ষ, নেটাগরিকদের রোষের মুখে অপর্ণা
“এমনিতে আমাদের কমপ্লেক্সে তো বাইরের খাবার দাবার খুব একটা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কাল কিছু ফল আনিয়েছিলাম। সে গুলোকে আবার ধুয়ে মুছে রাখা। ফ্রিজে যে রাখব সেখানেও আর জায়গা নেই। বাড়ির পুরুষেরা যারা কোনও সাহায্য না করে এখন নেটফ্লিক্স দেখছেন, তাঁরা কিন্তু ২১ দিন বাদে অনেক ওজন বাড়িয়ে ফেলবেন” সাবধান করলেন অভিনেত্রী।
এরই মধ্যে রয়েছে মায়ের চিন্তাও। তাঁর মায়েরও বয়স হয়েছে। ভাই মায়ের কাছে সর্বক্ষণ থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিললেও দুশ্চিন্তা পুরোপুরি কাটছে না তাঁর।
তবে এরই মাঝে সবার জন্য প্রার্থনা করছেন প্রতিদিনই। বললেন, “আমাদের কমিউনিটি থেকে আমরা সকালে প্রায় এক ঘণ্টা করে মেডিটেশন করছি। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি। হে ঠাকুর, সব কিছু ঠিক করে দাও তাড়াতাড়ি। সবাই যেন ভাল থাকে। সুস্থ থাকে।”