পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার। শুধু এক জন শিল্পী নন, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রচারে বেশ কিছু দিন ধরে আয়োজন করছেন স্বরসম্রাট ফেস্টিভ্যাল।
‘‘শাস্ত্রীয় সঙ্গীত যে পপুলিস্ট কালচারের জায়গা নেবে, এই ভাবনা থেকে কিন্তু আমি এই উৎসব করি না। আমার গুরু ওস্তাদ আলি আকবর খাঁ সাহেবের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা আর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত অনুরাগী বহু মানুষকে একটা পরিসরে মিলিয়ে দেওয়ার প্রয়াসেই এই ভাবনা।’’ বললেন তেজেন্দ্র নারায়ণ।
ওস্তাদ বাহাদুর খাঁ সাহেব, ওস্তাদ আলি আকবর খানের শিক্ষায় আলোকিত তেজেন্দ্র নারায়ণের সৌভাগ্য হয়েছিল পন্ডিত রবিশংকরের সংস্পর্শে আসার। ‘‘ওস্তাদ আলি আকবর খাঁ সাহেব চলে গিয়েছেন, আমার মন খুব খারাপ। রবিশংকরজি বললেন, আমি তো আছি!’’
আরও পড়ুন: পেরেক বেরলেও চোখ গেল যুবকের, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ মেডিক্যাল কলেজে
পন্ডিত রবিশংকরকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন তিনি তাঁর একশো বছরের সঙ্গীত জীবনকে মনে রেখে। এই স্মরণে উদযাপনের মাত্রা যোগ করবে ওস্তাদ জাকির হোসেনের ছন্দ ঝঙ্কার আর তাঁর সরোদের সুরবন্দনা।
কাল, রবিবার উত্তম মঞ্চে, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর নজরুল মঞ্চে এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি নজরুল মঞ্চে এই উৎসবের নানা মুখ উঠে আসবে। কুমার বসু, হিরণ্ময় মৈত্র, বিক্রম ঘোষ, জ্যোতি গুহ, পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী, রুনু মজুমদার, তন্ময় বসু, আশিস খান-সহ ভারতের শ্রেষ্ঠ মুখ! তেজেন্দ্র নারায়ণ মনে করেন না যে কলকাতায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের মানুষ কমে আসছেন।
‘‘আসলে যে যেখানেই থাকুন, কাজ করুন, আমি দেখেছি কলকাতায় পারফর্ম করার বিষয়কে সব শিল্পী অন্য চোখে দেখেন,’’ তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তেজেন। কাল থেকে স্বর আর সম্রাটের বহুস্বরে ভাসবে শীতের কলকাতা।
আরও পড়ুন:কালীঘাটে গণধর্ষণ-কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও ১ অভিযুক্ত